বাদী‘উছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আর দিওয়া ইযা-কাদাআমরান ফাইন্নামা-ইয়াকূলু লাহূ কুন ফাইয়াকূন।
অর্থ
মুফতী তাকী উসমানী
তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের অস্তিত্বদাতা। তিনি যখন কোনও বিষয়ের ফায়সালা করেন তখন কেবল এতটুকু বলেন যে, ‘হয়ে যাও’, অমনি তা হয়ে যায়। ৮৩
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৮৩. খ্রিস্টান সম্প্রদায় হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলার পুত্র বলে। ইয়াহুদীদের একটি দলও হযরত উযায়ের আলাইহিস সালামকে আল্লাহর পুত্র বলত। অন্য দিকে মক্কার মুশরিকগণ ফিরিশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা বলত। এ আয়াত তাদের সকলের ধারণা খণ্ডন করছে। বোঝানো হচ্ছে যে, সন্তানের প্রয়োজন তো কেবল তার, যে অন্যের সাহায্যের মুখাপেক্ষী। আল্লাহ তাআলার এমন কোনও মুখাপেক্ষিতা নেই। কেননা তিনি নিখিল বিশ্বের স্রষ্টা ও মালিক। কোনও কাজে তাঁর কারও সাহায্য গ্রহণের দরকার হয় না। এ অবস্থায় তিনি সন্তানের মুখাপেক্ষী হবেন কেন? এ দলীলকেই যুক্তিবিদ্যার ঢঙে এভাবে পেশ করা যায় যে, প্রত্যেক সন্তান তার পিতার অংশ হয়ে থাকে এবং প্রত্যেক ‘সমগ্র’ তার অংশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা যেহেতু সব রকমের মুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্ত ও পবিত্র। তাই তাঁর সত্তা অবিভাজ্য (বাসীত), যার কোনও অংশের প্রয়োজন নেই। সুতরাং তাঁর প্রতি সন্তান আরোপ করা তাকে মুখাপেক্ষী সাব্যস্ত করারই নামান্তর।