হে মুমিনগণ! তোমরা যখন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য কোনও ঋণের কারবার কর, তখন তা লিখে নাও। তোমাদের মধ্যে কোনও লেখক যেন ন্যায়নিষ্ঠভাবে (তা) লিখে দেয়। যে ব্যক্তি লিখতে জানে, সে যেন লিখতে অস্বীকার না করে। আল্লাহ যখন তাকে এটা শিক্ষা দিয়েছেন, তখন তার লেখা উচিত। হক যার উপর সাব্যস্ত হচ্ছে, সে যেন (তা) লেখায়। আর সে যেন তার প্রতিপালককে ভয় করে এবং তাতে (সেই হকের মধ্যে) কিছু না কমায়। ২১০ যার উপর হক সাব্যস্ত হচ্ছে, সে যদি নির্বোধ অথবা দুর্বল হয় অথবা (অন্য কোনও কারণে লেখার বিষয়) লেখাতে সক্ষম না হয়, তবে তার অভিভাবক যেন ন্যায্যভাবে (তা) লেখায়। আর নিজেদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জনকে সাক্ষী বানাবে। যদি দু’জন পুরুষ উপস্থিত না থাকে, তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক সেই সকল সাক্ষীদের মধ্য হতে, যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্য হতে একজন ভুলে গেলে অন্যজন তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারে। সাক্ষীদেরকে যখন (সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য) ডাকা হবে, তখন তারা যেন অস্বীকার না করে। যে কারবার মেয়াদের সাথে সম্পৃক্ত তা ছোট হোক বা বড়, লিখতে বিরক্ত হয়ো না। এ বিষয়টি আল্লাহর নিকট অধিকতর ইনসাফসম্মত এবং সাক্ষ্যকে প্রতিষ্ঠিত রাখার পক্ষে বেশি সহায়ক এবং তোমাদের মধ্যে যাতে (ভবিষ্যতে) সন্দেহ দেখা না দেয় তার (নিশ্চয়তা বিধানের) নিকটতর। হাঁ, তোমরা তোমাদের মধ্যে যে ব্যবসার নগদ লেনদেন কর, তবে তা না লেখালে তোমাদের কোনও অসুবিধা নেই। যখন বেচাকেনা করবে তখন সাক্ষী রাখবে। যে লেখবে তাকে কোনও কষ্ট দেওয়া যাবে না এবং সাক্ষীকেও নয়। তোমরা যদি (তা) কর তবে তোমাদের পক্ষ হতে তা অবাধ্যতা হবে। তোমরা অন্তরে আল্লাহর ভয় রেখ। আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দান করেন এবং আল্লাহ সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।