আল কাহ্‌ফ

সূরা নং: ১৮, আয়াত নং: ৯৪

তাফসীর
قَالُوۡا یٰذَا الۡقَرۡنَیۡنِ اِنَّ یَاۡجُوۡجَ وَمَاۡجُوۡجَ مُفۡسِدُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ فَہَلۡ نَجۡعَلُ لَکَ خَرۡجًا عَلٰۤی اَنۡ تَجۡعَلَ بَیۡنَنَا وَبَیۡنَہُمۡ سَدًّا

উচ্চারণ

কা-লূইয়া-যাল কারনাইনি ইন্না ইয়া’জূজা ওয়া মা’জূজা মুফছিদূনা ফিল আরদি ফাহাল নাজ‘আলুলাকা খারজান ‘আলাআন তাজ‘আলা বাইনানা-ওয়া বাইনাহুম ছাদ্দা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তারা বলল, হে যুলকারনাইন! ইয়াজুজ ও মাজুজ এ দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়। আমরা কি আপনাকে কিছু কর দেব, যার বিনিময়ে আপনি আমাদের ও তাদের মাঝখানে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন? ৫৩

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৩. ইয়াজুজ ও মাজুজ দু’টি অসভ্য মানবগোষ্ঠীর নাম। তারা পাহাড়ের অপর দিকে বাস করত। তারা কিছুদিন পর-পর গিরিপথ দিয়ে এ-পাশে আসত এবং লুটতরাজ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যেত। তাদের কারণে এ-পাশের মানুষের দুঃখণ্ডদুর্দশার কোন সীমা ছিল না। কাজেই তারা যখন দেখল যুলকারনাইন একজন অমিত শক্তিশালী সম্রাট এবং সব রকম আসবাব-উপকরণ তার করায়ত্ত, তখন তারা তাকে অনুরোধ জানাল, যেন দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকাটি একটি প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দেন, যাতে ইয়াজুজ-মাজুজের আসার পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা আর এ-পাশে এসে উপদ্রব করতে না পারে। তারা এ কাজের জন্য কিছু অর্থ জোগাবে বলেও প্রস্তাব করল। কিন্তু হযরত যুলকারনাইন কোন রকম বিনিময় নিতে অস্বীকার করলেন। তবে তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা লোকবল দিয়ে আমাকে সাহায্য কর, তাহলে আমি নিজের তরফ থেকে এ প্রাচীর তৈরি করে দেব।
﴾﴿