১৮. আল কাহ্‌ফ ( আয়াত নং - ৮৬ )

bookmark
حَتّٰۤی اِذَا بَلَغَ مَغۡرِبَ الشَّمۡسِ وَجَدَہَا تَغۡرُبُ فِیۡ عَیۡنٍ حَمِئَۃٍ وَّوَجَدَ عِنۡدَہَا قَوۡمًا ۬ؕ قُلۡنَا یٰذَا الۡقَرۡنَیۡنِ اِمَّاۤ اَنۡ تُعَذِّبَ وَاِمَّاۤ اَنۡ تَتَّخِذَ فِیۡہِمۡ حُسۡنًا
হাত্তাইযা-বালাগা মাগরিবাশ শামছি ওয়া জাদাহা-তাগরুবুফী ‘আইনিন হামিআতিওঁ ওয়া ওয়াজাদা ‘ইনদাহা-কাওমান কুলনা-ইয়া-যাল কারনাইনি ইম্মাআন তু‘আযযিবা ওয়া ইম্মাআন তাত্তাখিযা ফীহিম হুছনা-।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

যেতে যেতে যখন সূর্যাস্তের স্থানে পৌঁছল, তখন সে দেখতে পেল, সেটি এক কর্দমাক্ত (কালো) জলাধারে অস্ত যাচ্ছে ৪৮ এবং সেখানে সে একটি সম্প্রদায়ের সাক্ষাত পেল। আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! (তোমার সামনে দুটি পথ আছে।) হয় তুমি তাদেরকে শাস্তি দেবে, নয়ত তাদের ব্যাপারে উত্তম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ৪৯

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৪৮. সে অঞ্চলে যারা বসবাস করত তারা ছিল কাফের। যুলকারনাইন যখন সেখানে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করলেন, আল্লাহ তাঁকে বললেন, তুমি ইচ্ছা করলে অন্যান্য বিজেতাদের মত ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তাদেরকে মিসমার করে দিতে পার কিংবা চাইলে তাদের সাথে ভালো ব্যবহারও করতে পার। দ্বিতীয় পন্থাকে ‘ভালো ব্যবহার’ শব্দে ব্যক্ত করে আল্লাহ তাআলা ইশারা করেছেন এ পন্থা অবলম্বনই শ্রেয়। ‘যুলকারনাইন’ নবী ছিলেন কিনা এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তিনি নবী হয়ে থাকলে আল্লাহ তাআলা তাকে একথা বলেছিলেন ওহীর মাধ্যমে। আর যদি নবী না হন, তবে সম্ভবত সে যুগের কোন নবীর মাধ্যমে তাকে একথা জানানো হয়েছিল। এমনও হতে পারে যে, ইলহামের মাধ্যমে একথা তার অন্তরে সঞ্চারিত করা হয়েছিল।