বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ৯৩

তাফসীর
اَوۡ یَکُوۡنَ لَکَ بَیۡتٌ مِّنۡ زُخۡرُفٍ اَوۡ تَرۡقٰی فِی السَّمَآءِ ؕ  وَلَنۡ نُّؤۡمِنَ لِرُقِیِّکَ حَتّٰی تُنَزِّلَ عَلَیۡنَا کِتٰبًا نَّقۡرَؤُہٗ ؕ  قُلۡ سُبۡحَانَ رَبِّیۡ ہَلۡ کُنۡتُ اِلَّا بَشَرًا رَّسُوۡلًا ٪

উচ্চারণ

আও ইয়াকূনা লাকা বাইতুম মিন ঝুখরুফিন আও তারকা-ফিছছামাই ওয়ালান নু’মিনা লিরুকিইইকা হাত্তা-তুনাঝঝিলা ‘আলাইনা-কিতা-বান নাকরাউহূ কুল ছুবহা-না রাববী হাল কুনতুইল্লা-বাশারার রাছূলা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

অথবা তোমার জন্য একটি সোনার ঘর হয়ে যাবে অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করবে, কিন্তু আমরা তোমার আকাশে আরোহণকেও ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বাস করব না, যতক্ষণ না তুমি আমাদের প্রতি এমন এক কিতাব অবতীর্ণ করবে, যা আমরা পড়তে পারব। (হে নবী!) বলে দাও, আমার প্রতিপালক পবিত্র। আমি তো একজন মানুষ মাত্র, যাকে রাসূল করে পাঠানো হয়েছে। ৬০

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬০. ৮৯ থেকে ৯২ পর্যন্ত আয়াতসমূহে মক্কার মুশরিকদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া বর্ণিত হয়েছে। তাদের এসব দাবী ছিল কেবলই জেদপ্রসূত। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিভিন্ন মুজিযা তাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা তাঁর কাছে নিত্য-নতুন মুজিযার ফরমায়েশ করত। আল্লাহ তাআলা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাদের সমস্ত ফরমায়েশের জবাবে সংক্ষেপে জানিয়ে দিতে বলেছেন যে, আমি খোদা নই যে, এসব কাজে আমার এখতিয়ার থাকবে। আমি তো কেবলই একজন মানুষ। তবে আল্লাহ তাআলা আমাকে নবী করে পাঠিয়েছেন এবং সে কারণে তিনি নিজ হিকমত অনুযায়ী আমাকে কিছু মুজিযা দান করেছেন। আমি নিজ ক্ষমতাবলে সেসব মুজিযার বাইরে কোন মুজিযা দেখাতে পারি না।
﴾﴿