وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الرُّوۡحِ ؕ قُلِ الرُّوۡحُ مِنۡ اَمۡرِ رَبِّیۡ وَمَاۤ اُوۡتِیۡتُمۡ مِّنَ الۡعِلۡمِ اِلَّا قَلِیۡلًا
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫৯. সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি.) থেকে বর্ণিত আছে, কতিপয় ইয়াহুদী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পরীক্ষা করার অভিপ্রায়ে প্রশ্নে করেছিল, রূহ কি জিনিস? তারই উত্তরে এ আয়াত নাযিল হয়েছে। উত্তরে কেবল ততটুকু কথাই বলা হয়েছে, যতটুকু মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব। অর্থাৎ, কেবল এতটুকু কথা যে, ‘রূহ সরাসরি আল্লাহ তাআলার আদেশ দ্বারা সৃষ্ট। মানুষের দেহ ও অন্যান্য মাখলুকের ক্ষেত্রে তো লক্ষ্য করা যায়, তাদের সৃষ্টিতে বাহ্যিক আসবাব-উপকরণের কিছু ভূমিকা আছে। যেমন নর-নারীর মিলনে বাচ্চা জন্ম নেয়। কিন্তু রূহের বিষয়টা এ রকম নয়। তার সৃষ্টিতে এ রকম কোন কিছুর ভূমিকা মানুষের দৃষ্টিগোচর হয় না। এটা সরাসরি আল্লাহ তাআলার হুকুমে অস্তিত্ব লাভ করে। রূহ সম্পর্কে এর বেশি বোঝা মানব বুদ্ধির পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বলা হয়েছে, তোমাদেরকে অতি সামান্যই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেক কিছুই তোমাদের পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব নয়। অনেক জিনিসই তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধির অতীত।