বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ৭৩

তাফসীর
وَاِنۡ کَادُوۡا لَیَفۡتِنُوۡنَکَ عَنِ الَّذِیۡۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ لِتَفۡتَرِیَ عَلَیۡنَا غَیۡرَہٗ ٭ۖ وَاِذًا لَّاتَّخَذُوۡکَ خَلِیۡلًا

উচ্চারণ

ওয়া ইন কা-দূলাইয়াফতিনূনাকা ‘আনিল্লাযীআওহাইনাইলাইকা লিতাফতারিয়া ‘আলাইনা-গাইরাহূ ওয়া ইযাল্লাত্তাখযূকা খালীলা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(হে নবী!) আমি তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি, কাফেরগণ তোমাকে তা থেকে বিচ্যুত করার উপক্রম করছিল, যাতে তুমি এর পরিবর্তে অন্য কোন কথা রচনা করে আমার নামে পেশ কর। সেক্ষেত্রে তারা তোমাকে অবশ্যই নিজেদের পরম বন্ধু বানিয়ে নিত। ৫০

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫০. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর দাওয়াত থেকে ফেরানোর জন্য মুশরিকরা বহুমুখী প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, যেমন তাঁর কাছে তাদের একটা প্রস্তাব ছিল, আপনি যদি আমাদের দেব-দেবীদের নিন্দা করা ছেড়ে দেন তবে আমরা আপনার মাবুদের ইবাদত করব, আরেক প্রস্তাব ছিল আপনি কুরআন থেকে প্রতিমাদের নিন্দামূলক অংশটুকু বদলে দিন, আরও বলেছিল, আপনি গরীব মুসলিমদের বাদ দিয়ে আমাদের জন্য যদি খাস মজলিস করেন, তবে আমরা তাতে যোগ দেব, এমনি আরও বিভিন্ন প্রস্তাব। আল্লাহ তাআলা বলছেন, হে নবী! আপনি আমার হেফাজত ও তত্ত্বাবধানে আছেন, নয়ত আপনি তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করে আমার প্রেরিত ওহী থেকে সরেই যেতেন। এভাবে এ আয়াতে সত্যের উপর অবিচলিত রাখার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ মেহেরবানীর কথা ব্যক্ত করা হয়েছে। এভাবে মানুষকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, কুরআন ও দীনের হিফাজতের কাজে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিন্দুমাত্র শিথিলতা প্রদর্শন করেননি এবং ওহী ও সত্য থেকে একচুল বিচ্যুত হননি। আর আল্লাহ তাআলার হিফাজতের কারণে তাঁর দ্বারা তা হওয়া সম্ভবও ছিল না। ليفتنونك (অর্থ তারা আপনাকে ফিতনায় ফেলত)-এর দ্বারা বোঝানো উদ্দেশ্য, ছলনা দিয়ে ওহীর হুকুম থেকে বিচ্যুত করা। -অনুবাদক
﴾﴿