বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ৪৪

তাফসীর
تُسَبِّحُ لَہُ السَّمٰوٰتُ السَّبۡعُ وَالۡاَرۡضُ وَمَنۡ فِیۡہِنَّ ؕ وَاِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِہٖ وَلٰکِنۡ لَّا تَفۡقَہُوۡنَ تَسۡبِیۡحَہُمۡ ؕ اِنَّہٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا

উচ্চারণ

তুছাব্বিহুলাহুছছামা-ওয়া-তুছ ছাব ‘উ ওয়াল আর দুওয়া মান ফীহিন্না ওয়া ইম মিন শাইয়িন ইল্লা-ইউছাব্বিহুবিহামদিহী ওয়ালা-কিল লা-তাফকাহূনা তাছবীহাহুম ইন্নাহূ কা-না হালীমান গাফূরা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

সাত আসমান ও যমীন এবং এদের অন্তর্ভুক্ত সমস্ত সৃষ্টি তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে, এমন কোন জিনিস নেই, যা তাঁর সপ্রশংস তাসবীহ পাঠ করে না। কিন্তু তোমরা তাদের তাসবীহ বুঝতে পার না। ৩০ বস্তুত তিনি পরম সহিষ্ণু, অতি ক্ষমাশীল।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩০. এর দুই ব্যাখ্যা হতে পারে (ক) যাবতীয় বস্তু তাদের নিজ-নিজ অবস্থা দ্বারা আল্লাহ তাআলার তাসবীহ (পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা) করে। কেননা প্রতিটি বস্তুই এমন যে, তার সৃজন ও সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলে আল্লাহ তাআলার পরিপূর্ণ শক্তি ও তাঁর একত্বের প্রমাণ মেলে এবং উপলব্ধি করা যায় প্রতিটি বস্তু একান্তভাবে তাঁরই আজ্ঞাধীন। (খ) এটাও অসম্ভব নয় যে, প্রতিটি বস্তু প্রকৃত অর্থেই তাসবীহ পাঠ করে, কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারি না। কেননা আল্লাহ তাআলা জগতের প্রতিটি জিনিস, এমনকি পাথরের ভেতরও এক রকমের অনুভূতি-শক্তি দান করেছেন। যে শক্তি দ্বারা সবকিছুর পক্ষেই তাসবীহ পাঠ সম্ভব। কুরআন মাজীদের বেশ ক’টি আয়াতের আলোকে এই দ্বিতীয় ব্যাখ্যাই বেশি সঠিক মনে হয়। আধুনিক বিজ্ঞানও স্বীকার করে নিয়েছে যে, পাথরের মধ্যেও এক ধরনের অনুভব শক্তি আছে।
﴾﴿