বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ৪২

তাফসীর
قُلۡ لَّوۡ کَانَ مَعَہٗۤ اٰلِـہَۃٌ کَمَا یَقُوۡلُوۡنَ اِذًا لَّابۡتَغَوۡا اِلٰی ذِی الۡعَرۡشِ سَبِیۡلًا

উচ্চারণ

কুল লাও কা-না মা‘আহূ আ-লিহাতুনকামা- ইয়াকূ লূনা ইযাল্লাব তাগাও ইলাযিল‘আরশি ছাবীলা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, আল্লাহর সঙ্গে যদি আরও ইলাহ থাকত, যেমন তোমরা বলছ তবে তারা আরশ-অধিপতি (প্রকৃত ইলাহের)-এর উপর প্রভাব বিস্তারের কোন পথ খুঁজত। ২৯

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৯. এটা তাওহীদের পক্ষে ও শিরকের বিরুদ্ধে এমন এক দলীল, যা যে-কারও পক্ষেই বোঝা সহজ। দলীলটির সারমর্ম হল, ইলাহ এমন কোনও সত্তাকেই বলা যায়, যিনি হবেন সর্বশক্তিমান, যে- কোনও রকমের কাজ করার ক্ষমতা যার আছে এবং যিনি কারও অধীন হবেন না। বিশ্বজগতে আল্লাহ তাআলা ছাড়া আরও ইলাহ থাকলে, প্রত্যেকেই এ গুণের অধিকারী হত। ফলে প্রত্যেকেই অন্যের থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হত এবং প্রত্যেকেরই ক্ষমতা হত পরিপূর্ণ। আর সেক্ষেত্রে সব ইলাহ মিলে আরশ অধিপতি ইলাহের উপর প্রভাবও বিস্তার করতে সক্ষম হত। যদি বলা হয়, আল্লাহর উপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা তাদের নেই, বরং তারা আল্লাহ তাআলার কর্তৃত্বাধীন, তবে তারা কেমন ইলাহ হল? এর দ্বারা প্রমাণ হয়ে যায় প্রকৃত ইলাহ একজনই। তিনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নয়।
﴾﴿