বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ৩৪

তাফসীর
وَلَا تَقۡرَبُوۡا مَالَ الۡیَتِیۡمِ اِلَّا بِالَّتِیۡ ہِیَ اَحۡسَنُ حَتّٰی یَبۡلُغَ اَشُدَّہٗ ۪ وَاَوۡفُوۡا بِالۡعَہۡدِ ۚ اِنَّ الۡعَہۡدَ کَانَ مَسۡـُٔوۡلًا

উচ্চারণ

ওয়ালা-তাকরাবূমা-লাল ইয়াতীমি ইল্লা-বিল্লাতী হিয়া আহছানুহাত্তা-ইয়াবলুগা আশুদ্দাহূ ওয়া আওফূবিল‘আহদি ইন্নাল ‘আহদা কা-না মাছউলা।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং ইয়াতীম যতক্ষণ না পরিপক্কতায় উপনীত হয়, তার সম্পদের কাছেও যেও না, তবে এমন পন্থায় যা (তার পক্ষে) উত্তম। ২৩ আর অঙ্গীকার পূরণ করো। নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে (তোমাদের) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৩. ইয়াতীমদের আত্মীয়-স্বজন, বিশেষত তার অভিভাবকদের লক্ষ্য করে বলা হচ্ছে, ইয়াতীম যদি তার মৃত পিতার রেখে যাওয়া সম্পদের কোন অংশ পায়, তবে তাকে আমানত মনে করবে। সে সম্পদে ইয়াতীমের পক্ষে যা লাভজনক কেবল সে রকম কাজ-কারবারই জায়েয হবে। এমন কোনও কাজ তাতে করা যাবে না, যাতে তার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে। যেমন তা থেকে কাউকে ঋণ দেওয়া বা তার পক্ষ হতে কাউকে কিছু উপহার দেওয়া ইত্যাদি। অবশ্য সে যখন পরিপক্কতায় উপনীত হবে, অর্থাৎ সাবালকত্ব লাভ করবে এবং নিজের লাভ-ক্ষতি উপলব্ধি করার মত বুঝ-সমঝ তার ভেতর এসে যাবে, তখন তার সম্পদ তার হাতে বুঝিয়ে দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। সূরা নিসায় (৪ : ২) এ মাসআলা বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
﴾﴿
সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত ২০৬৩ | মুসলিম বাংলা