বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ১১০

তাফসীর
قُلِ ادۡعُوا اللّٰہَ اَوِ ادۡعُوا الرَّحۡمٰنَ ؕ اَیًّا مَّا تَدۡعُوۡا فَلَہُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی ۚ وَلَا تَجۡہَرۡ بِصَلَاتِکَ وَلَا تُخَافِتۡ بِہَا وَابۡتَغِ بَیۡنَ ذٰلِکَ سَبِیۡلًا

উচ্চারণ

কুলিদ‘উল্লা-হা আবিদ ‘উর রাহমা-না আইঁ ইয়াম্মা-তাদ‘ঊ ফালাহুল আছমাঊল হুছনা-ওয়ালা-তাজহার বিসালা-তিকা ওয়ালা-তুখা-ফিত বিহা-ওয়াবতাগি বাইনা যালিকা ছাবীলা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

বলে দাও, তোমরা আল্লাহকে ডাক বা রহমানকে ডাক, যে নামেই তোমরা (আল্লাহকে) ডাক, (একই কথা। কেননা) সমস্ত সুন্দর নাম তো তাঁরই। ৬৬ তুমি নিজের নামায বেশি উঁচু স্বরে পড়বে না এবং অতি নিচু স্বরেও নয়; বরং উভয়ের মাঝামাঝি পন্থা অবলম্বন করবে। ৬৭

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬৬. এ আয়াতের পটভূমি নিম্নরূপ, মুশরিকরা জানত না আল্লাহ তাআলার একটি নাম রহমান। ফলে মুসলিমগণ যখন ‘ইয়া আল্লাহ’, ‘ইয়া রহমান’ বলে ডাকত, মুশরিকরা তা নিয়ে ঠাট্টা করত। তারা বলত, একদিকে তো তোমরা বলছ ‘আল্লাহ এক’। অন্যদিকে দুই খোদাকে ডাকছ। আল্লাহকে এবং তাঁর সাথে রহমানকে। এ আয়াতের তাদের সেই অবান্তর কথার উত্তর দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, ‘আল্লাহ’ ও ‘রহমান’ উভয়ই আল্লাহ তাআলারই নাম। বরং তাঁর এ ছাড়াও আরও অনেক ভালো ভালো নাম আছে। সেগুলোকে ‘আল-আসমাউল হুসনা’ বলে। তাঁকে তার যে-কোনও নামেই ডাকা যায়। তাতে তাওহীদের আকীদা দূষিত হয় না।
﴾﴿