বনী-ইসরাঈল

সূরা নং: ১৭, আয়াত নং: ১০১

তাফসীর
وَلَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی تِسۡعَ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ فَسۡـَٔلۡ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اِذۡ جَآءَہُمۡ فَقَالَ لَہٗ فِرۡعَوۡنُ اِنِّیۡ لَاَظُنُّکَ یٰمُوۡسٰی مَسۡحُوۡرًا

উচ্চারণ

ওয়া লাকাদ আ-তাইনা-মূছা-তিছ‘আ আ-য়া-তিম বাইয়িনা-তিন ফাছআল বানী ইছরাঈলা ইয জাআহুম ফাকা-লা লাহূফির‘আউনুইন্নী লাআজুন্নুকা ইয়া-মূছামাছহূরা-।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আমি মূসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম। ৬৩ বনী ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস করে দেখ, সে যখন তাদের কাছে আসল, তখন ফির‘আউন তাকে বলেছিল, হে মূসা! তোমার সম্পর্কে তো আমার ধারণা কেউ তোমাকে যাদু করেছে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬৩. নিদর্শনগুলো কী ছিল? একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, এগুলো ছিল নয়টি বিধান, যথা ১. শিরক করবে না। ২. চুরি করবে না, ৩. ব্যভিচার করবে না, ৪. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করবে না, ৫. মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কাউকে হত্যা বা অন্য কোন শাস্তির সম্মুখীন করবে না, ৬. যাদু করবে না, ৭. সুদ খাবে না, ৮. চরিত্রবতী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করবে না এবং ৯. যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবে না (আবু দাঊদ, নাসাঈ, ইবন মাজা) [ইমাম ইবন কাছীর (রহ) সহ আরও অনেকের মতে ‘নয়টি নিদর্শন’ দ্বারা হযরত মূসা আলাইহিস সালামের নবুওয়াতের সত্যতা প্রমাণের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত নয়টি নিদর্শনকে বোঝানো হয়েছে। তা হল, শুভ্রৌজ্জ্বল হাত, লাঠি, দুর্ভিক্ষ, ফসলহানি, প্লাবন, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত। -অনুবাদক]
﴾﴿
সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত ২১৩০ | মুসলিম বাংলা