আন নাহ্‌ল

সূরা নং: ১৬, আয়াত নং: ৯৮

তাফসীর
فَاِذَا قَرَاۡتَ الۡقُرۡاٰنَ فَاسۡتَعِذۡ بِاللّٰہِ مِنَ الشَّیۡطٰنِ الرَّجِیۡمِ

উচ্চারণ

ফাইযা-কারা’তাল কুরআ-না ফাছতা‘ইযবিল্লা-হিমিনাশশাইতা-নির রাজীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

সুতরাং আপনি যখন কুরআন পড়বে, তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করবেন। ৫৪

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৪. পূর্বের আয়াতসমূহে সৎকর্মের ফযীলত বর্ণিত হয়েছিল। যেহেতু শয়তানই সৎকর্মের সর্বাপেক্ষা বড় বাধা এবং বেশির ভাগ তার কারসাজির ফলেই মানুষ সৎকর্মে প্রস্তুত হতে পারে না, তাই এ আয়াতে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। কুরআন তিলাওয়াতও একটি সৎকর্ম। বলা হয়েছে, তোমরা কুরআন তিলাওয়াতের আগে শয়তান থেকে আল্লাহ তাআলার আশ্রয় গ্রহণ করবে। অর্থাৎ বলবে اَعُوْذُبِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ ‘আমি বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করছি’। বিশেষভাবে কুরআন তিলাওয়াতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এ কারণে যে, কুরআন মাজীদই সমস্ত সৎকর্মের পথনির্দেশ করে ও উৎসাহ যোগায়। তবে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়টা কেবল কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটা একটা সাধারণ নির্দেশ। যে-কোনও সৎকর্ম শুরুর আগে শয়তান থেকে আল্লাহ তাআলার আশ্রয় প্রার্থনার অভ্যাস গড়ে তুললে ইনশাআল্লাহ তার ছলনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
﴾﴿