আন নাহ্‌ল

সূরা নং: ১৬, আয়াত নং: ৮৯

তাফসীর
وَیَوۡمَ نَبۡعَثُ فِیۡ کُلِّ اُمَّۃٍ شَہِیۡدًا عَلَیۡہِمۡ مِّنۡ اَنۡفُسِہِمۡ وَجِئۡنَا بِکَ شَہِیۡدًا عَلٰی ہٰۤؤُلَآءِ ؕ  وَنَزَّلۡنَا عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ تِبۡیَانًا لِّکُلِّ شَیۡءٍ وَّہُدًی وَّرَحۡمَۃً وَّبُشۡرٰی لِلۡمُسۡلِمِیۡنَ ٪

উচ্চারণ

ওয়া ইয়াওমা নাব‘আছুফী কুল্লি উম্মাতিন শাহীদান ‘আলাইহিম মিন আনফুছিহিম ওয়া জি’নাবিকা শাহীদান ‘আলা-হাউলাই ওয়া নাঝঝালনা ‘আলাইকাল কিতা-বা তিবইয়া-নাল লিকুল্লি শাইইওঁ ওয়া হুদাওঁ ওয়া রাহমাতাওঁ ওয়া বুশরা-লিলমুছলিমীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

সেই দিনকেও স্মরণ রেখ, যেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে, তাদের নিজেদের থেকে, তাদের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব আর (হে নবী!) আমি তোমাকে এদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য উপস্থিত করব। ৪৮ আমি তোমার প্রতি এ কিতাব নাযিল করেছি, যাতে এটা প্রতিটি বিষয় সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দেয় এবং মুসলিমদের জন্য হয় হিদায়াত, রহমত ও সুসংবাদ।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৪৮. অর্থাৎ প্রত্যেক নবী আপন আপন উম্মত সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার দরবারে সাক্ষি দেবেন আর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও নিজ উম্মত সম্পর্কে সাক্ষি দেবেন। তাঁর ওফাত-উত্তর লোকদের সম্পর্কে তাঁর সাক্ষ্যদান সম্ভব হবে এ কারণে যে, তাঁদের আমল পবিত্র কবরে, তাঁর সামনে পেশ করা হয়। উম্মত সম্পর্কে তাঁর সাক্ষ্যদানের আরেক অর্থ হতে পারে এ রকম যে, অন্যান্য নবীগণ যখন আপন-আপন উম্মত সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবেন আর তার বিপরীতে সেইসব উম্মত দাবি করবে যে, তাদের কাছে কেউ হিদায়াতের বাণী প্রচার করেনি, তখন এই উম্মত নবীগণের পক্ষে সাক্ষি দেবে যে, তারা আপন-আপন উম্মতের কাছে সত্য দীনের প্রচার করেছিলেন। এ সময় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ উম্মতের বিশ্বস্ততা ও তাদের সাক্ষের যথার্থতা সম্পর্কে সাক্ষি দেবেন, যেমন সূরা বাকারার ২ : ১৪৩ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে। -অনুবাদক
﴾﴿