আন নাহ্‌ল

সূরা নং: ১৬, আয়াত নং: ১১২

তাফসীর
وَضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا قَرۡیَۃً کَانَتۡ اٰمِنَۃً مُّطۡمَئِنَّۃً یَّاۡتِیۡہَا رِزۡقُہَا رَغَدًا مِّنۡ کُلِّ مَکَانٍ فَکَفَرَتۡ بِاَنۡعُمِ اللّٰہِ فَاَذَاقَہَا اللّٰہُ لِبَاسَ الۡجُوۡعِ وَالۡخَوۡفِ بِمَا کَانُوۡا یَصۡنَعُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া দারাবাল্লা-হু মাছালান কারইয়াতান কা-নাত আ-মিনাতাম মুতমাইন্নাতাইঁ ইয়া’তীহারিঝকুহা-রাগাদাম মিন কুল্লি মাকা-নিন ফাকাফারাত বিআন‘উমিল্লা-হি ফাআযা-কাহাল্লা-হু লিবা-ছাল জূ‘ই ওয়াল খাওফি বিমা-কা-নূইয়াসনা‘ঊন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ এক জনবসতির দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন, যা ছিল নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ। চতুর্দিক থেকে তার জীবিকা চলে আসত পর্যাপ্ত পরিমাণে। অতঃপর তা আল্লাহর নি‘আমতের অকৃতজ্ঞতা শুরু করে দিল। ফলে আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদেরকে ক্ষুধা ও ভীতির পোশাক আস্বাদন করালেন। ৫৯

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৯. এখানে আল্লাহ তাআলা একটি সাধারণ দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। বলছেন যে, একটি জনপদ ছিল সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরপুর। কালক্রমে তারা আল্লাহ তাআলার অকৃতজ্ঞতা ও অবাধ্যতায় ডুবে গেল এবং কোনক্রমেই নিজেদেরকে শোধরাতে রাজি হল না। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে শাস্তির স্বাদ চাখালেন। এক দিকে তাদের উপর দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হল, অন্যদিকে শত্রুদের পক্ষ থেকে আক্রমণ ও লুট-তরাজের ভয়-ভীতি। এ দুটো বিপদ যেন পোশাকের মত তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলল। কিন্তু কোন-কোন মুফাসসির বলেন, এর দ্বারা মক্কা মুকাররমার জনপদকে বোঝানো হয়েছে, যার বাসিন্দাগণ সুখণ্ডশান্তিতে জীবন যাপন করছিল। কিন্তু তারা যখন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অস্বীকার করল, তখন তাদের উপর কঠিন দুর্ভিক্ষ চাপিয়ে দেওয়া হল। তাতে মানুষ চামড়া পর্যন্ত খেতে বাধ্য হল। শেষ পর্যন্ত তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে আবেদন করল, আপনি দু‘আ করুন, যেন আমাদেরকে এ দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। সুতরাং তিনি দু‘আ করলেন। ফলে দুর্ভিক্ষ কেটে গেল। সূরা দুখানেও এ ঘটনা আসবে।
﴾﴿