আন নাহ্‌ল

সূরা নং: ১৬, আয়াত নং: ১১০

তাফসীর
ثُمَّ اِنَّ رَبَّکَ لِلَّذِیۡنَ ہَاجَرُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِ مَا فُتِنُوۡا ثُمَّ جٰہَدُوۡا وَصَبَرُوۡۤا ۙ  اِنَّ رَبَّکَ مِنۡۢ بَعۡدِہَا لَغَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ٪

উচ্চারণ

ছু ম্মা ইন্না রাব্বাকা লিল্লাযীনা হা-জারূমিম বা‘দি মা-ফুতিনূছু ম্মা জা-হাদূওয়া সাবারূ ইন্না রাব্বাকা মিম বা‘দিহা-লাগাফূরুর রাহীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যারা ফিতনায় আক্রান্ত হওয়ার পর হিজরত করেছে, তারপর জিহাদ করেছে ও সবর অবলম্বন করেছে, তোমার প্রতিপালক এসব বিষয়ের পর অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ৫৮

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৮. এ আয়াতে ‘ফিতনায় আক্রান্ত হওয়ার’ কথা বলে সেই সকল সাহাবীর প্রতি ইশারা করা হতে পারে, যারা মক্কা মুকাররমায় কাফেরদের পক্ষ থেকে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। প্রথমে যেহেতু কাফেরদের অশুভ পরিণামের কথা জানানো হয়েছিল, তাই এবার সেই নিপীড়িত মুসলিমদের প্রতিদানের কথাও জানিয়ে দেওয়া হল। কোন কোন মুফাসসির এখানে ফিতনায় আক্রান্ত হওয়ার অর্থ এই করেছেন যে, তারা প্রথমে কুফরীতে লিপ্ত হয় এবং তারপর তাওবা করে নেয়। এ হিসেবে এর সম্পর্ক হবে মুরতাদদের সাথে। অর্থাৎ, পূর্বে যে মুরতাদ (ইসলামত্যাগী)দের সম্পর্কে আলোচনা চলছিল, আলোচনা আবার সে দিকেই ফিরে গেছে। এবার তাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এখনও যদি তারা তাওবা করে এবং হিজরত ও জিহাদে শামিল হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাআলা আগের সবকিছু ক্ষমা করে দেবেন।
﴾﴿
সূরা আন নাহ্‌ল, আয়াত ২০১১