আন নাহ্‌ল

সূরা নং: ১৬, আয়াত নং: ১০৬

তাফসীর
مَنۡ کَفَرَ بِاللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِہٖۤ اِلَّا مَنۡ اُکۡرِہَ وَقَلۡبُہٗ مُطۡمَئِنٌّۢ بِالۡاِیۡمَانِ وَلٰکِنۡ مَّنۡ شَرَحَ بِالۡکُفۡرِ صَدۡرًا فَعَلَیۡہِمۡ غَضَبٌ مِّنَ اللّٰہِ ۚ وَلَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ

উচ্চারণ

মান কাফারা বিল্লা-হি মিম বা‘দি ঈমা-নিহীইল্লা-মান উকরিহা ওয়া কালবুহূমুতমাইননুম বিলঈমা-নি ওয়ালা-কিম মান শারাহা বিলকুফরি সাদরান ফা‘আলাইহিম গাদাবুম মিনাল্লা-হি ওয়ালাহুম ‘আযা-বুন ‘আজীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পর তাঁর কুফরীতে লিপ্ত হয় অবশ্য যাকে (কুফরীর জন্য) বাধ্য করা হয়েছে, কিন্তু তার অন্তর ঈমানে স্থির সে নয়; বরং যে কুফরীর জন্য নিজ হৃদয় খুলে দিয়েছে, এরূপ লোকের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে গযব ৫৭ এবং তাদের জন্য আছে মহাশাস্তি।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৭. অর্থাৎ, কারও যদি প্রাণের আশঙ্কা দেখা দেয়, হুমকি দেওয়া হয় কুফরী কথা উচ্চারণ না করলে তাকে জানে মেরে ফেলা হবে, তবে সে মাযূর। সে তা উচ্চারণ করলে ক্ষমাযোগ্য হবে। শর্ত হল, তার অন্তর ঈমানে অবিচলিত থাকতে হবে। কিন্তু কেউ যদি স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে কুফরী কথা বলে, তবে তার উপর আল্লাহ তাআলার গযব নাযিল হবে।
﴾﴿