আন নাহ্‌ল

সূরা নং: ১৬, আয়াত নং: ১০৩

তাফসীর
وَلَقَدۡ نَعۡلَمُ اَنَّہُمۡ یَقُوۡلُوۡنَ اِنَّمَا یُعَلِّمُہٗ بَشَرٌ ؕ لِسَانُ الَّذِیۡ یُلۡحِدُوۡنَ اِلَیۡہِ اَعۡجَمِیٌّ وَّہٰذَا لِسَانٌ عَرَبِیٌّ مُّبِیۡنٌ

উচ্চারণ

ওয়া লাকাদ না‘লামুআন্নাহুম ইয়াকূলূনা ইন্নামা-ইউ‘আলিলমুহূবাশারুল লিছা-নুল্লাযী ইউলহিদূ না ইলাইহি আ‘জামিইয়ুওঁ ওয়া হা-যা-লিছা-নুন ‘আরাবিইয়ুম মুবীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(হে নবী!) আমার জানা আছে যে, তারা (তোমার সম্পর্কে) বলে, তাকে তো একজন মানুষ শিক্ষা দেয়। (অথচ) তারা যার প্রতি এটা আরোপ করে তার ভাষা আরবী নয়। ৫৬ আর এটা (অর্থাৎ কুরআনের ভাষা) স্পষ্ট আরবী ভাষা।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৬. মক্কা মুকাররমায় একজন কামার ছিল, যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লামের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত। তাই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঝে-মাঝে তার কাছে যেতেন ও তাকে দীন ও ঈমানের কথা শোনাতেন। সেও কখনও কখনও তাঁকে ইনজীলের দু’-একটি কথা শুনিয়ে দিত। ব্যস! এরই ভিত্তিতে মক্কা মুকাররমার কোন কোন কাফের বলতে শুরু করল, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লামকে সেই কামারই এ কুরআন শিখাচ্ছে। তাদের সে মন্তব্য যে কতটা অবান্তর সেটাই এ আয়াতে ব্যক্ত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, সেই বেচারা কামার তো এক অনারব লোক। সে এই অনন্যসাধারণ বাকশৈলীর অলংকারময় আরবী কুরআন কিভাবে রচনা করতে পারে?
﴾﴿