ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ৯৩

তাফসীর
اِذۡہَبُوۡا بِقَمِیۡصِیۡ ہٰذَا فَاَلۡقُوۡہُ عَلٰی وَجۡہِ اَبِیۡ یَاۡتِ بَصِیۡرًا ۚ  وَاۡتُوۡنِیۡ بِاَہۡلِکُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ ٪

উচ্চারণ

ইযহাবূবিকামীসী হা-যা-ফাআলকূহূ‘আলা-ওয়াজহি আবী ইয়া’তি বাসীরা- ওয়া’তূনী বিআহলিকুম আজমা‘ঈন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আমার এই জামা নিয়ে যাও এবং এটা আমার পিতার চেহারার উপর রেখে দিও। এর ফলে তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে। আর তোমাদের পরিবারের সকলকে আমার কাছে নিয়ে এসো। ৫৯

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৯. এস্থলে প্রশ্ন জাগে, ইউসুফ আলাইহিস সালাম নিশ্চয়ই জানতেন, তাঁর বিচ্ছেদে তাঁর মহান পিতার কী অবস্থা হতে পারে। তা সত্ত্বেও এত দীর্ঘকাল যাবৎ তিনি এমন নিরুদ্দেশের মত কাটিয়ে দিলেন যে, কোনও সূত্রেই পিতার কাছে নিজ সহীহ-সালামতে থাকার খবর পর্যন্ত পাঠানোর চেষ্টা করলেন না। অথচ তাঁর পক্ষে এটা কোনও কঠিন কাজ ছিল না। প্রথমে তিনি ছিলেন আযীযের ঘরে। তখন খবর পাঠানোর জন্য কোনও না কোনও উপায় তাঁর পেয়ে যাওয়ার কথা। মাঝখানে কয়েক বছর কারাবাসে থাকেন। মুক্তি লাভের পর তো মিসরের সর্বময় কর্তৃত্বই তাঁর হাতে এসে গিয়েছিল। তখন প্রথমেই তিনি হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামসহ পরিবারের সকলকে মিসরে ডেকে আনার ব্যবস্থা করতে পারতেন এবং এতদিনে ভাইদেরকে যে কথা বললেন, তা তাদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতকালেই বলতে পারতেন। এর ফলে হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের দুঃখ-বেদনার কাল সংক্ষেপ হতে পারত। কিন্তু তিনি এসবের কিছুই করলেন না। তা কেন করলেন না? এর সোজা-সাপটা জবাব এই যে, এসব ঘটনার ভেতর আল্লাহ তাআলার অনেক বড়-বড় হিকমত ও রহস্য নিহিত ছিল। বিশেষত তিনি চাচ্ছিলেন তাঁর প্রিয় বান্দা ও রাসূল হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামের সবর ও সংযমের পরীক্ষা নিতে। তাই এ সুদীর্ঘ কালে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে পিতার সাথে কোনও রকম যোগাযোগের অনুমতিই দেওয়া হয়নি।
﴾﴿