ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ৮৭

তাফসীর
یٰبَنِیَّ اذۡہَبُوۡا فَتَحَسَّسُوۡا مِنۡ یُّوۡسُفَ وَاَخِیۡہِ وَلَا تَایۡـَٔسُوۡا مِنۡ رَّوۡحِ اللّٰہِ ؕ اِنَّہٗ لَا یَایۡـَٔسُ مِنۡ رَّوۡحِ اللّٰہِ اِلَّا الۡقَوۡمُ الۡکٰفِرُوۡنَ

উচ্চারণ

ইয়া-বানিইইয়াযহাবূফাতাহাছছাছূমিইঁ ইঊছুফা ওয়া আখীহি ওয়ালা-তাইআছূমির রাওহিল্লা-হি; ইন্নাহূলা-ইয়াইআছুমিররাওহিল্লা-হি ইল্লাল কাওমুল কা-ফিরূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

ওহে আমার পুত্রগণ! তোমরা যাও এবং ইউসুফ ও তার ভাইয়ের সন্ধান চালাও। তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, জেনে রেখ আল্লাহর রহমত থেকে কেবল তারাই নিরাশ হয়, যারা কাফের। ৫৬

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৫৬. হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম নিশ্চিত ছিলেন যে, ইউসুফ আলাইহিস সালামও কোথাও না কোথাও জীবিত আছেন। আর বিনইয়ামীন তো আটক রয়েছে। তাই তিনি কিছু দিন পর পূর্ণ আস্থার সাথে হুকুম দিলেন, ‘তোমরা গিয়ে তাদের দু’জনকে খোঁজ কর। ইত্যবসরে তাদের আনা খাদ্যও ফুরিয়ে গিয়েছিল। আর দুর্ভিক্ষ তো চলছিলই। সুতরাং ভাইয়েরা পুনরায় মিসর যেতে মনস্থ করল। কেননা বিনইয়ামীন তো নিশ্চিতভাবেই সেখানে আছে। প্রথমে তাকে মুক্ত করে আনার চেষ্টা করা চাই। তারপর ইউসুফ আলাইহিস সালামেরও খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা করা যাবে। কাজেই তারা মিসর গেল এবং প্রথমে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের সাথে রসদের ব্যাপারে কথা বলল, যাতে তার মনটা কিছুটা নরম হয় এবং বিনইয়ামীনকে ফেরত নেওয়া সম্পর্কে কথা বলা সহজ হয়। পরবর্তী আয়াতসমূহে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের সাথে তাদের সেই কথোপকথনের বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
﴾﴿