وَلَمَّا دَخَلُوۡا مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَہُمۡ اَبُوۡہُمۡ ؕ مَا کَانَ یُغۡنِیۡ عَنۡہُمۡ مِّنَ اللّٰہِ مِنۡ شَیۡءٍ اِلَّا حَاجَۃً فِیۡ نَفۡسِ یَعۡقُوۡبَ قَضٰہَا ؕ وَاِنَّہٗ لَذُوۡ عِلۡمٍ لِّمَا عَلَّمۡنٰہُ وَلٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَعۡلَمُوۡنَ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪৬. অর্থাৎ, বহু লোক হয় নিজেদের বাহ্যিক কলা-কৌশলকেই প্রকৃত কার্যবিধায়ক মনে করে অথবা তার উপর এতটা নির্ভর করে যে, তখন আর আল্লাহ তাআলার ক্ষমতার প্রতি তাদের নজর থাকে না। চিন্তা করে না যে, আল্লাহ তাআলা যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের সে কলা-কৌশলে ক্ষমতা সৃষ্টি না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হতে পারে না। কিন্তু হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম এরূপ ছিলেন না। তিনি যখন তাঁর পুত্রদেরকে বদনজর থেকে বাঁচার কৌশল বলে দিলেন, যাকে আয়াতে তার মনের হাজত বা অভিপ্রায় শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে, তখন সেই সঙ্গে একথাও জানিয়ে দিলেন যে, এটা কেবলই একটা ব্যবস্থা। প্রকৃতপক্ষে উপকার ও ক্ষতি সাধনের এখতিয়ার আল্লাহ তাআলা ছাড়া আর কারও নেই। সুতরাং তাদের সে ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় বদনজর থেকে বাঁচার ব্যাপারে তো ফলপ্রসূ হল, কিন্তু আল্লাহ তাআলারই ইচ্ছায় তারা অপর এক সঙ্কটে পড়ে গেল, যার বিবরণ সামনে আসছে।