ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ৫৫

তাফসীর
قَالَ اجۡعَلۡنِیۡ عَلٰی خَزَآئِنِ الۡاَرۡضِ ۚ اِنِّیۡ حَفِیۡظٌ عَلِیۡمٌ

উচ্চারণ

কা-লাজ‘আলনী ‘আলা-খাঝাইনিল আরদি ইন্নী হাফীজুন ‘আলীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

ইউসুফ বলল, আপনি আমাকে দেশের অর্থ-সম্পদের (ব্যবস্থাপনা) কার্যে নিযুক্ত করুন। নিশ্চিত থাকুন আমি রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ভালো পারি এবং আমি (এ কাজের) পূর্ণ জ্ঞান রাখি। ৩৬

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩৬. সাধারণ অবস্থায় রাষ্ট্রীয় কোন পদ নিজে চেয়ে নেওয়া শরীয়তে অনুমোদিত নয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা নিষেধ করেছেন। কিন্তু যদি সরকারি কোন পদ কোন অযোগ্য ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হওয়ার কারণে মানুষের ক্ষতি হবে বলে প্রবল আশঙ্কা দেখা দেয়, তবে এরূপ ঠেকা অবস্থায় সৎ, যোগ্য ও মুত্তাকী ব্যক্তির পক্ষে পদ প্রার্থনা করা জায়েয আছে। এস্থলে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের আশঙ্কা ছিল, আসন্ন দুর্ভিক্ষকালে মানুষ অন্যায়-অবিচারের সম্মুখীন হতে পারে। তাছাড়া সে দেশে আল্লাহ তাআলার আইন প্রতিষ্ঠা করার জন্য হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের নিজের দায়িত্ব গ্রহণ ছাড়া কোনও উপায়ও ছিল না। এ কারণেই তিনি দেশের অর্থ বিভাগের দায়িত্ব নিজ মাথায় তুলে নেন। রিওয়ায়াত দ্বারা জানা যায়, বাদশাহ পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রের যাবতীয় ক্ষমতা তাঁর উপর ন্যস্ত করেছিলেন। ফলে তিনি সারাটা দেশের শাসক হয়ে গিয়েছিলেন। হযরত মুজাহিদ (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে, বাদশাহ তাঁর হাতে ইসলামও গ্রহণ করেছিলেন। সুতরাং হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম কর্তৃক রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণের ফলে গোটা দেশে আল্লাহ তাআলার ইনসাফভিত্তিক আইন জারি করা সম্ভব হয়েছিল।
﴾﴿