ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ৫৩

তাফসীর
وَمَاۤ اُبَرِّیٴُ نَفۡسِیۡ ۚ اِنَّ النَّفۡسَ لَاَمَّارَۃٌۢ بِالسُّوۡٓءِ اِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّیۡ ؕ اِنَّ رَبِّیۡ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ

উচ্চারণ

ওয়ামাউবাররিউ নাফছী ইন্নান্নাফছা লাআম্মা-রাতুম বিছছূই ইল্লা-মা-রাহিমা রাববী ইন্না রাববী গাফূরুর রাহীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আমি এ দাবী করি না যে, আমার মন সম্পূর্ণ পাক পবিত্র। বস্তুত মন সর্বদা মন্দ কাজেরই আদেশ করে। অবশ্য আমার রব্ব যদি দয়া করেন সেটা ভিন্ন কথা (সে অবস্থায় মনের কোন চাতুর্য চলে না)। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ৩৪

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩৪. হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম কোন পর্যায়ের বিনয়ী ছিলেন এবং কেমন ছিল তাঁর আবদিয়াত বা আল্লাহর প্রতি দাসত্ব-চেতনার মাত্রা, তা লক্ষ্য করুন। খোদ সেই নারীদের স্বীকারোক্তি দ্বারা যখন তাঁর নির্দোষিতা প্রমাণ হয়ে গেছে তখনও তিনি বিন্দুমাত্র নিজ মাহাত্ম্য প্রকাশ করছেন না; বরং কেমন বিনয়ের সঙ্গে বলছেন, আমি যে কঠিন ফাঁদ থেকে বেঁচে গেছি এটা আমার কিছু কৃতিত্ব নয়। মন তো আমারও আছে। মন সর্বদা মন্দ কাজেরই উস্কানি দেয়। প্রকৃতপক্ষে এটা আল্লাহ তাআলারই দয়া। তিনি যাকে চান তাকে মনের ছলনা থেকে রক্ষা করেন। অবশ্য অন্যান্য দলীল-প্রমাণ দ্বারা এটা স্পষ্ট যে, আল্লাহ তাআলার এ দয়া ও রহমত কেবল সেই ব্যক্তির উপরই হয়, যে গুনাহ থেকে আত্মরক্ষার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালায়, যেমন হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম চালিয়েছিলেন। তিনি দৌঁড় দিয়ে দরজা পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। সেই সঙ্গে আল্লাহ তাআলার দিকে রুজু হয়ে তাঁর আশ্রয়ও প্রার্থনা করেছিলেন।
﴾﴿