ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ৪৫

তাফসীর
وَقَالَ الَّذِیۡ نَجَا مِنۡہُمَا وَادَّکَرَ بَعۡدَ اُمَّۃٍ اَنَا اُنَبِّئُکُمۡ بِتَاۡوِیۡلِہٖ فَاَرۡسِلُوۡنِ

উচ্চারণ

ওয়া কা-লাল্লাযীনাজা-মিনহুমা-ওয়াদ্দাকারা বা‘দা উম্মাতিন আনা-উনাব্বিউকুম বিতাবীলিহী ফাআরছিলূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

সেই দুই কয়েদীর মধ্যে যে মুক্তি পেয়েছিল এবং দীর্ঘকাল পর যার (ইউসুফের কথা) স্মরণ হয়েছিল, সে বলল, আমি আপনাদেরকে এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিয়ে দিচ্ছি। সুতরাং আপনারা আমাকে (কারাগারে ইউসুফের কাছে) পাঠিয়ে দিন। ৩০

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩০. এ হচ্ছে সেই বন্দী, যার স্বপ্নের ব্যাখ্যায় হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বলেছিলেন, সে জেল থেকে মুক্তি লাভ করবে। তিনি তাকে তার মুক্তিকালে একথাও বলেছিলেন যে, তুমি তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বলো। কিন্তু সে তা বলতে ভুলে গিয়েছিল। বাদশাহ যখন নিজ স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চাইলেন, তখন তার মনে পড়ল যে, আল্লাহ তাআলা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে স্বপ্ন-ব্যাখ্যার বিশেষ জ্ঞান দান করেছেন। এই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যাদান তাঁর পক্ষেই সম্ভব। তাই সে বাদশাহকে বলল, কারাগারে একজন লোক আছে। সে স্বপ্নের ভাল ব্যাখ্যা করতে পারে। আপনি আমাকে তার কাছে পাঠিয়ে দিন। কুরআন মাজীদ কোন গল্পগ্রন্থ নয়। এতে যে ঘটনা বর্ণিত হয়, তার বিশেষ কোন উদ্দেশ্য থাকে। এ কারণেই ঘটনা বর্ণনায় কুরআনী রীতি হয়, যেসব খুঁটিনাটি শ্রোতা নিজেই বুঝে নিতে সক্ষম, কুরআন তা বর্ণনা করে না। সুতরাং এখানেও পরিষ্কার শব্দে একথা বলার দরকার মনে করা হয়নি যে, তারপর বাদশাহ তাকে কারাগারে পাঠালেন। সেখানে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের সঙ্গে তার সাক্ষাত হল এবং সে তাকে বলল...। বরং সরাসরি কথা শুরু করা হয়েছে এখান থেকে যে, ইউসুফ! ওহে সেই ব্যক্তি, যার সব কথা সত্য হয়।
﴾﴿