ইউসুফ

সূরা নং: ১২, আয়াত নং: ৩৭

তাফসীর
قَالَ لَا یَاۡتِیۡکُمَا طَعَامٌ تُرۡزَقٰنِہٖۤ اِلَّا نَبَّاۡتُکُمَا بِتَاۡوِیۡلِہٖ قَبۡلَ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمَا ؕ ذٰلِکُمَا مِمَّا عَلَّمَنِیۡ رَبِّیۡ ؕ اِنِّیۡ تَرَکۡتُ مِلَّۃَ قَوۡمٍ لَّا یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَہُمۡ بِالۡاٰخِرَۃِ ہُمۡ کٰفِرُوۡنَ

উচ্চারণ

কা-লা লা-ইয়া’তীকুমা-তা‘আ-মুন তুরঝাকা-নিহীইল্লা-নাব্বা’তুকুমা-বিতা’বীলিহী কাবলা আইঁ ইয়া’তিয়াকুমা- যা-লিকুমা-মিম্মা-‘আল্লামানী রাববী ইন্নী তারাকতু মিল্লাতা কাওমিল লা-ইউ’মিনূনা বিল্লা-হি ওয়াহুম বিলআ-খিরাতি হুম কা-ফিরূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

ইউসুফ বলল, (কারাগারে) তোমাদেরকে যে খাবার দেওয়া হয়, তা আসার আগেই আমি তোমাদেরকে এর রহস্য বলে দেব। ২৬ এটা সেই জ্ঞানের অংশ, যা আমার প্রতিপালক আমাকে দান করেছেন। (কিন্তু তার আগে তোমরা আমার একটা কথা শোন)। ব্যাপার এই যে, যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে না ও যারা আখেরাতে অবিশ্বাসী, আমি তাদের দীন পরিত্যাগ করেছি। ২৭

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৬. হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম যখন দেখলেন সেই বন্দীদ্বয় স্বপ্নের তাবীরের ব্যাপারে তাঁর প্রতি আস্থাশীল এবং তারা তাঁকে একজন ভালো লোক বলেও বিশ্বাস করে, তখন স্বপ্নের তাবীর বলার আগে তাদেরকে সত্য-দীনের প্রতি দাওয়াত দেওয়া সমীচীন মনে করলেন। বিশেষত এ কারণেও যে, তাদের একজনের স্বপ্নের ব্যাখ্যা ছিল তাকে শূলে চড়ানো হবে। আর এভাবে তার ইহজীবন সাঙ্গ হয়ে যাবে। তাই তিনি চাইলেন, যাতে সে অন্তত মৃত্যুর আগে ঈমান আনয়ন করে, তাহলে তার আখেরাতের জীবনে মুক্তি লাভ হবে। এটাই নবীসুলভ কর্মপন্থা। তারা যখন উপযুক্ত কোন সময় পেয়ে যান, তখন আর দাওয়াত পেশ করতে বিলম্ব করেন না।
﴾﴿