وَاِنۡ کَانَ قَمِیۡصُہٗ قُدَّ مِنۡ دُبُرٍ فَکَذَبَتۡ وَہُوَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৯. হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম যে নির্দোষ, আল্লাহ তাআলা এটা আযীযের কাছে পরিষ্কার করে দিতে চাইলেন। আর এজন্য তিনি এই ব্যবস্থা করলেন যে, যুলায়খারই পরিবারের এক ব্যক্তিকে মীমাংসাকারী বানিয়ে দিলেন। সে সত্য-মিথ্যার মধ্যে প্রভেদ করার জন্য এমন এক আলামত বলে দিল যার যৌক্তিকতা অস্বীকার করার উপায় নেই। তার বক্তব্য ছিল, হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের জামা সম্মুখ দিক থেকে ছিঁড়ে থাকলে সেটা প্রমাণ করবে যে, তিনি স্ত্রীলোকটির দিকে এগোতে চাচ্ছিলেন আর স্ত্রীলোকটি হাত বাড়িয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। এই জোরাজুরির ভেতর তাঁর জামা ছিঁড়ে যায়। কিন্তু তাঁরা জামা যদি পিছন দিক থেকে ছিঁড়ে থাকে, তবে তার অর্থ হবে তিনি পালানোর চেষ্টা করছিলেন আর যুলায়খা পশ্চাদ্বাবন করে তাকে আটকাতে চাচ্ছিল। এক পর্যায়ে যুলায়খা তাঁর জামা ধরে তাঁকে নিজের দিকে টেনে নিতে চাইলে তাতে জামা ছিঁড়ে যায়। এক তো তার একথা অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ ছিল। দ্বিতীয়ত নির্ভরযোগ্য কিছু হাদীস দ্বারা জানা যায় এ সাক্ষ্য দিয়েছিল যুলায়খার পরিবারের একটি ছোট্ট শিশু, তখনও পর্যন্ত যার কথা বলার মত বয়স হয়নি। আল্লাহ তাআলা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের পবিত্রতা প্রমাণ করার জন্য তখন তাকে কথা বলার শক্তি দান করেন, যেমন কথা বলার শক্তি হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে দান করেছিলেন। মোটকথা এই অনস্বীকার্য প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর আযীযের আর কোনও সন্দেহ থাকল না যে, সবটা দোষ তার স্ত্রীরই এবং ইউসুফ আলাইহিস সালাম এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্দোষ।