وَرَفَعَ اَبَوَیۡہِ عَلَی الۡعَرۡشِ وَخَرُّوۡا لَہٗ سُجَّدًا ۚ وَقَالَ یٰۤاَبَتِ ہٰذَا تَاۡوِیۡلُ رُءۡیَایَ مِنۡ قَبۡلُ ۫ قَدۡ جَعَلَہَا رَبِّیۡ حَقًّا ؕ وَقَدۡ اَحۡسَنَ بِیۡۤ اِذۡ اَخۡرَجَنِیۡ مِنَ السِّجۡنِ وَجَآءَ بِکُمۡ مِّنَ الۡبَدۡوِ مِنۡۢ بَعۡدِ اَنۡ نَّزَغَ الشَّیۡطٰنُ بَیۡنِیۡ وَبَیۡنَ اِخۡوَتِیۡ ؕ اِنَّ رَبِّیۡ لَطِیۡفٌ لِّمَا یَشَآءُ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ
উচ্চারণ
ওয়া রাফা‘আ আবাওয়াইহি ‘আলাল ‘আরশি ওয়া খাররূলাহূছুজ্জদাওঁ ওয়া কা-লা ইয়াআবাতি হা-যা-তা’বীলুরু‘ইয়া-ইয়া মিন কাবলু কাদ জা‘আলাহা-রাববী হাক্কাওঁ ওয়া কাদ আহছানা বী ইযআখরাজানী মিনাছছিজনি ওয়া জাআ বিকুম মিনাল বাদবিমিম বা‘দি আন নাঝাগাশশাইতা-নুবাইনী ওয়া বাইনা ইখওয়াতী ইন্না রাববী লাতীফুল লিমা-ইয়াশাউ ইন্নাহূহুওয়াল ‘আলীমুল হাকীম।
মুফতী তাকী উসমানী
সে তার পিতা-মাতাকে সিংহাসনে বসাল আর তারা সকলে তার সামনে সিজদায় পড়ে গেল। ৬৪ ইউসুফ বলল, আব্বাজী! এই হল আমার স্বপ্নের ব্যাখ্যা, যা আমার প্রতিপালক সত্যে পরিণত করেছেন। ৬৫ তিনি আমার প্রতি বড়ই অনুগ্রহ করেছেন যে, আমাকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন এবং আপনাদেরকে দেহাত থেকে এখানে নিয়ে এসেছেন। অথচ ইতঃপূর্বে আমার ও আমার ভাইদের মধ্যে শয়তান অনর্থ সৃষ্টি করেছিল। ৬৬ বস্তুত আমার প্রতিপালক যা ইচ্ছা করেন, তার জন্য অতি সূক্ষ্ম ব্যবস্থা করেন। নিশ্চয়ই তিনিই সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৬৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে এ আয়াতের যে তাফসীর বর্ণিত আছে, সে অনুযায়ী হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের সামনে তাঁরা সিজদা করেছিল আল্লাহর তাআলার শোকর আদায়ের লক্ষ্যে। অর্থাৎ, তারা সিজদা করেছিল আল্লাহ তাআলাকেই। হ্যাঁ, তা করেছিল হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের সামনে, তাকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে। ইমাম রাযী (রহ.) এ তাফসীরকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। অন্যান্য মুফাসসিরগণ বলেন, এটা ইবাদতমূলক সিজদা ছিল না; বরং শ্রদ্ধাজ্ঞাপনমূলক সিজদা, যেমন ফেরেশতাগণ হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করেছিল। এরূপ সিজদা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের শরীয়তে জায়েয ছিল। কিন্তু মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শরীয়তে এরূপ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনমূলক সিজদাও জায়েয নয়।