হুদ

সূরা নং: ১১, আয়াত নং: ৪২

তাফসীর
وَہِیَ تَجۡرِیۡ بِہِمۡ فِیۡ مَوۡجٍ کَالۡجِبَالِ ۟ وَنَادٰی نُوۡحُۨ ابۡنَہٗ وَکَانَ فِیۡ مَعۡزِلٍ یّٰـبُنَیَّ ارۡکَبۡ مَّعَنَا وَلَا تَکُنۡ مَّعَ الۡکٰفِرِیۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া হিয়া তাজরী বিহিম ফী মাওজিন কালজিবা-লি ওয়া না-দা-নূহুনিবনাহূওয়া কা-না ফী মা‘ঝিলিইঁ ইয়া-বুনাইয়ার কাব মা‘আনা-ওয়ালা তাকুম মা‘আল কা-ফিরীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

সে নৌকা পর্বত-প্রমাণ তরঙ্গরাশির মধ্যে তাদের নিয়ে বয়ে চলছিল। নূহ তার যে পুত্র সকলের থেকে পৃথক ছিল, তাকে ডেকে বলল, বাছা! আমাদের সাথে আরোহণ কর এবং কাফেরদের সাথে থেক না। ২৮

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৮. হযরত নূহ আলাইহিস সালামের অন্যান্য পুত্রগণ তো নৌকায় সওয়ার হয়েছিল, কিন্তু তাঁর ‘কিনআন’ নামক পুত্র সওয়ার হয়নি। সে ছিল কাফের এবং কাফেরদের সাথেই ওঠাবসা করত। সম্ভবত তার কাফের হওয়ার বিষয়টা হযরত নূহ আলাইহিস সালামের জানা ছিল না; তাঁর ধারণা ছিল, কেবল সঙ্গদোষই তাঁর সমস্যা। অথবা তিনি জানতেন সে কাফের, কিন্তু আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন সে মুসলিম হয়ে যাক। তাই প্রথমে তাকে নৌকায় চড়ার জন্য ডাকেন তারপর তার জন্য দু‘আ করেন, যেমন সামনে ৪৫ নং আয়াতে আসছে, যাতে সেও নৌকায় চড়ার অনুমতি লাভ করে, অর্থাৎ, কাফের হয়ে থাকলে যেন ঈমানের তাওফীক লাভ করে। আল্লাহ তাআলার ওয়াদা ছিল হযরত নূহ আলাইহিস সালামের পরিবারবর্গের মধ্যে যারা মুমিন তারা সকলেই আযাব থেকে রক্ষা পাবে। তাই হযরত নূহ আলাইহিস সালাম সে ওয়াদার কথাও উল্লেখ করলেন। আল্লাহ তাআলা উত্তরে জানালেন, সে কাফের এবং তার ভাগ্যে ঈমান নেই। আর এ কারণে বাস্তবিকপক্ষে সে তোমার পরিবারভুক্ত নয়। তোমার জানা ছিল না যে, তার ভাগ্যে ঈমান নেই আর সে কারণেই তুমি তার নাজাত বা ঈমানের জন্য দু‘আ করেছ। এ কথাই সামনের আয়াতে বোঝানো হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, তুমি আমার কাছে এমন জিনিস চেও না, যে সম্পর্কে তোমার জানা নেই।
﴾﴿