ইউনুস

সূরা নং: ১০, আয়াত নং: ৫৪

তাফসীর
وَلَوۡ اَنَّ لِکُلِّ نَفۡسٍ ظَلَمَتۡ مَا فِی الۡاَرۡضِ لَافۡتَدَتۡ بِہٖ ؕ وَاَسَرُّوا النَّدَامَۃَ لَمَّا رَاَوُا الۡعَذَابَ ۚ وَقُضِیَ بَیۡنَہُمۡ بِالۡقِسۡطِ وَہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া লাও আন্না লিকুল্লি নাফছিন জালামাত মা-ফিল আরদিলাফতাদাত বিহী ওয়া আছাররুন নাদা-মাতা লাম্মা-রাআউল ‘আযা-বা ওয়া কুদিয়া বাইনাহুম বিলকিছতি ওয়া হুম লা-ইউজলামূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যে ব্যক্তিই জুলুমে লিপ্ত হয়েছে, তার যদি পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সবই হয়ে যায়, তবে সে নিজ মুক্তির বিনিময়ে তা দিয়ে দেবে এবং তারা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন নিজ অনুতাপ লুকাতে চাবে। ৩১ ন্যায়বিচারের সাথে তাদের মীমাংসা হবে এবং তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৩১. অর্থাৎ তাদের ধারণা ও কল্পনার বাইরে যখন বিভীষিকাময় শাস্তি চাক্ষুস দেখতে পাবে, তখন এমনই ভীত-বিহ্বল হয়ে পড়বে যে, তারা এমনকি কান্নার কথাও ভুলে যাবে, চিৎকার পর্যন্ত করতে পারবে না। বিলকুল নির্বাক-নিথর হয়ে যাবে। একেই ‘অনুতাপ লুকানো’ শব্দে ব্যক্ত করা হয়েছে। অথবা এর অর্থ, অনুসারীরা দোষারোপ করবে এই ভয়ে কাফিরদের নেতৃবর্গ তাদের সামনে নিজেদের অনুতাপ-আক্ষেপের কথা প্রকাশ করবে না। কিন্তু এটা তাদের স্থায়ী অবস্থা নয়। এক সময় টিকতে না পেরে বলে উঠবে, ‘হায়, আল্লাহর প্রতি আমার কর্তব্যে যে অবহেলা আমি করেছি, সেজন্য আফসোস! (যুমার ৩৯ : ৫৬) এবং বলবে, ‘হায় দুর্ভোগ আমি এ ব্যাপারে বড় উদাসীন ছিলাম’ (সূরা আম্বিয়া ২১ : ৯৭)। -অনুবাদক
﴾﴿