ہُوَ الَّذِیۡ جَعَلَ الشَّمۡسَ ضِیَآءً وَّالۡقَمَرَ نُوۡرًا وَّقَدَّرَہٗ مَنَازِلَ لِتَعۡلَمُوۡا عَدَدَ السِّنِیۡنَ وَالۡحِسَابَ ؕ مَا خَلَقَ اللّٰہُ ذٰلِکَ اِلَّا بِالۡحَقِّ ۚ یُفَصِّلُ الۡاٰیٰتِ لِقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৪. কুরআন মাজীদ সৃষ্টি জগতের যে বস্তুরাজির প্রতি অঙ্গুলি-নির্দেশ করে, তা দ্বারা দু’টি বিষয় প্রমাণ করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। (এক) মহা বিশ্বের যে মহা বিস্ময়কর ব্যবস্থাপনার অধীনে চন্দ্র-সূর্য অত্যন্ত নিপুণ ও সূক্ষ্ম হিসাব অনুযায়ী আপন-আপন কাজ করে যাচ্ছে, তা আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরত ও অপার হিকমতের পরিচয় বহন করে। আরব মুশরিকরাও স্বীকার করত যে, এ সমস্ত কিছু আল্লাহ তাআলারই সৃষ্টি। কুরআন মাজীদ বলছে, যেই মহান সত্তা এত বড়-বড় কাজে সক্ষম, তার জন্য কোনও রকম শরীকের কী প্রয়োজন থাকতে পারে? সুতরাং এই নিখিল বিশ্ব আল্লাহ তাআলার তাওহীদ ও তাঁর একত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছে। (দুই) বিশ্ব জগতকে নিরর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীন সৃষ্টি করা হয়নি। ইহকালের পর আখিরাতের স্থায়ী জীবন না থাকলে বিশ্ব জগতের সৃজন নিরর্থক হয়ে যায়। কেননা মানুষের ভালো-মন্দ কর্মের ফলাফলের জন্য সে রকম এক জগত অপরিহার্য। সুতরাং এ সৃষ্টিজগত আল্লাহ তাআলার একত্ব প্রমাণের সাথে সাথে আখেরাতের অপরিহার্যতাকেও সপ্রমাণ করে।