ইউনুস

সূরা নং: ১০, আয়াত নং: ৪৬

তাফসীর
وَاِمَّا نُرِیَنَّکَ بَعۡضَ الَّذِیۡ نَعِدُہُمۡ اَوۡ نَتَوَفَّیَنَّکَ فَاِلَیۡنَا مَرۡجِعُہُمۡ ثُمَّ اللّٰہُ شَہِیۡدٌ عَلٰی مَا یَفۡعَلُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া ইম্মা-নুরিইয়ান্নাকা বা‘দাল্লাযীনা‘ইদুহুম আও নাতাওয়াফফাইয়ান্নাকা ফাইলাইনামারজি‘উহুম ছু ম্মাল্লা-হু শাহীদুন ‘আলা-মা-ইয়াফ‘আলূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

(হে নবী!) আমি তাদেরকে (অর্থাৎ কাফেরদেরকে) যেসব বিষয়ে ভীতি প্রদর্শন করেছি, তার কোনও বিষয় আমি তোমাকে (তোমার জীবদ্দশায়) দেখিয়ে দেই অথবা (তার আগে) তোমার রূহ কবয করে নেই, সর্বাবস্থায়ই তো তাদেরকে শেষ পর্যন্ত আমার কাছেই ফিরতে হবে। ২৯ অতঃপর (এটা তো সুস্পষ্ট যে,) তারা যা-কিছু করছে, আল্লাহ তা সম্যক প্রত্যক্ষ করছেন (সুতরাং তখন তিনি এর শাস্তি দেবেন)।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

২৯. এটা এই খটকার জবাব যে, আল্লাহ তাআলা কাফেরদেরকে শাস্তি দানের ধমকি তো দিয়ে রেখেছেন, অথচ তাদের পক্ষ থেকে এতসব অবাধ্যতা ও মুসলিমদের সাথে তাদের ক্রমবর্ধমান শত্রুতা সত্ত্বেও তাদের উপর তো কোনও আযাব আসতে দেখা যাচ্ছে না! এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলছেন, আল্লাহ তাআলার হিকমত অনুযায়ী সময় মতই তাদের উপর শাস্তি আসবে। সে আযাব এমনও হতে পারে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় দুনিয়াতেই তারা পেয়ে যাবে আবার এমনও হতে পারে যে, দুনিয়ায় তাঁর জীবদ্দশায় তাদের উপর কোনও আযাব আসবে না, কিন্তু আখেরাতের শাস্তি তো অবধারিত। তারা যখন আল্লাহ তাআলার কাছে ফিরে যাবে তখন অনন্তকালীন শাস্তি ভোগ করতেই হবে।
﴾﴿