لِلَّذِیۡنَ اَحۡسَنُوا الۡحُسۡنٰی وَزِیَادَۃٌ ؕ وَلَا یَرۡہَقُ وُجُوۡہَہُمۡ قَتَرٌ وَّلَا ذِلَّۃٌ ؕ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
১৬. এটা প্রতিশ্রুতির এক সূক্ষ্ম ও কৌতূহলোদ্দীপক ভঙ্গি যে, ‘আরও কিছু’ যে কী তা আল্লাহ তাআলা খুলে বলেননি। বরং তা পর্দার আড়ালে রেখে দিয়েছেন। ব্যাপার এই যে, জান্নাতে উৎকৃষ্ট সব নিয়ামতের অতিরিক্ত এমন কিছু নিয়ামতও থাকবে, যা আল্লাহ তাআলা ব্যাখ্যা করে বললেও তার আসল মজা ও আস্বাদ ইহজগতে বসে উপলব্ধি করা মানুষের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। কাজেই আপাতত মানুষের বোঝার জন্য যতটুকু দরকার আল্লাহ তাআলা ততটুকু বলেই ক্ষান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ, তাঁর শান মোতাবেক হবে এমন কিছু আপেক্ষিক নিয়ামতের কথা উল্লেখ করে দিয়েছেন।
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, যখন সমস্ত জান্নাতবাসী জান্নাতের নিয়ামতসমূহ পেয়ে আনন্দাপ্লুত হয়ে যাবে ও তাতে সম্পূর্ণ মাতোয়ারা হয়ে পড়বে, তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমি তোমাদেরকে একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এখন আমি তা পূরণ করতে চাই। জান্নাতবাসীগণ বলবে, আল্লাহ তাআলা তো আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করে জান্নাত দান করেছেন এবং এভাবে নিজের সব ওয়াদা পূরণ করে ফেলেছেন। এরপর আবার কোন ওয়াদা বাকি আছে? এ সময় আল্লাহ তাআলা পর্দা সরিয়ে নিজ দীদার ও দর্শন দান করবেন। তখন জান্নাতবাসীদের মনে হবে, এ পর্যন্ত তাদেরকে যত নি‘আমত দেওয়া হয়েছে এই নি‘আমতের মজা ও আনন্দ সে সব কিছুর উপরে (রূহুল মাআনী সহীহ মুসলিম প্রভৃতির বরাতে)।