আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

মাসায়েল অনুসন্ধানের ফলাফল

সায়ী” শব্দ দিয়ে ১০০ টি মাসায়েল পাওয়া গেছে

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

২৯১০

আমরা লক্ষ্য করে আসছি যে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং পল্লবী এলাকার প্রায় শরয়ী মসজিদে মকতবের রেকর্ড করা হচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, শিক্ষকগণ বিনিময় নিয়েই ছেলে-মেয়েদেরকে মসজিদে বসে ধর্মীয় শিক্ষা দিচ্ছেন। ছাত্র-ছাত্রীরা সবকের সময়ের ভিতর মসজিদের পাখা, বাতি ইত্যাদি জিনিসপত্রও ব্যবহার করছে। শোরগোল তো আছেই। এভাবে দীর্ঘকাল ধরে মকতব চললেও স্বতন্ত্রভাবে মকতবের জন্য কোনো ঘর তৈরির ভাবনা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যে নেই বললেই চলে। বলতে গেলে এভাবে মসজিদগুলো সাময়িকভাবে নয়; বরং এক একটা অনুমোদিত স্থায়ী মাদরাসায় পরিণত হয়েছে। অবশ্য মুসলমানদের ছেলেমেয়েকে ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাবোধ প্রত্যেকের ভিতর থাকা উচিত। সেটা কীভাবে কোথায় হবে সেটাও নিরুপণ করে নেওয়া উচিত। বর্ণিত বিষয় আমাদের জিজ্ঞাস্য, এভাবে বিনিময় নিয়ে মসজিদের ভিতর কিংবা বারান্দায় বসে ছেলেমেয়েদের পড়ানো বৈধ কি না? যদি বৈধ না হয় তবে বৈধতার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত জানালে উপকৃত হব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
৬৯০৯
এই হাদিসের ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৫৫/ ফিতনা সমূহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী (كتاب الفتن وأشراط الساعة) | হাদিস নাম্বারঃ ৭১৪২ ২৩. কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়া ৭১৪২। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামত কবে হবে? তখন তাঁর নিকট মুহাম্মাদ নামক এক আনসারী বালক উপিস্থিত ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ বালক যদি বেঁচে থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার পূর্বেই কিয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে। গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী) | অধ্যায়ঃ ৫৪। বিভিন্ন ফিতনাহ ও কিয়ামতের লক্ষনসমূহ (كتاب الفتن وأشراط الساعة) | হাদিস নাম্বারঃ ৭৩০০  (২৯৫৩) ২৭. কিয়ামত সন্নিকটবর্তী ৭৩০০-(১৩৭/২৯৫৩) আবূ বাকর ইবনু আবু শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদিন এক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলেন, কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে? তখন তার কাছে মুহাম্মাদ নামে এক আনসারী বালক উপস্থিত ছিল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ বালক যদি জীবিত থাকে তবে সে বৃদ্ধ হওয়ার আগেই কিয়ামত সংঘটিত হয়ে হবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৪২, ইসলামিক সেন্টার ৭১৯৪)
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
২৯ নভেম্বর, ২০২২
ঢাকা ১২০৯
২০৬২

এক মেযের সাথে আমার গোপনে পরিচয় হয়। স্থায়ী সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে আমার কয়েকজন বন্ধুবান্ধবসহ একটি রেস্টুরেন্টে একত্রিত হই। আমার এক বন্ধু কাজী অফিসের পিয়ন হিসেবে একজনকে নিয়ে আসে। সে কাজী অফিস থেকে বিবাহ রেজিস্ট্রি করার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে আসে। এছাড়াও সরকারি দলিল-স্ট্যাম্পে একটি বিবাহ হলফনামা নিয়ে আসে। সেখানে আমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার নিমিত্তে স্বাক্ষর করি এবং নিকাহনামা রেজিস্টারেও উভয়ে স্বাক্ষর করি। সেখানে চারজন পুরুষও উপস্থিত ছিল। এছাড়া বিবাহ পড়ানোর উপযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা কাজী অফিসের কেউ উপস্থিত ছিল না। উক্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১,০০,০০১ টাকা দেনমোহরের শর্তে আমরা বিবাহ সম্পন্ন করি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা কেউই ইজাব-কবুল বলিনি। পিয়ন আমাদের বললেন, আপনারা দুজন স্বামী স্ত্রী। এরপর আমরা যার যার মতো চলে আসি।

বিয়ের ২-৩ মাসের পর থেকে আমাদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। ৩-৪ মাস পর এক পুরুষ শিক্ষক নিয়ে পর্দার ব্যাপারে আমার সাথে ওর ঝগড়া হয়। আমি রাগ করে একপর্যায়ে বলেছিলাম, তুমি যদি কালকে, পরশু এবং এর পরের দিন তার কাছে পড় তাহলে তুমি যথাক্রমে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক। পরে জানতে পারি, সে তিন দিনই পড়েছিল। এখন প্রশ্ন হল, ক) আমাদের বিবাহ কি সঠিক হয়েছিল? খ) আমাদের মধ্যে তালাক হয়েছিল কি? গ) এখন আমি পারিবারিকভাবে ওকে ঘরে তুলতে বা বিয়ে করতে চাই। এজন্য আমার কী করা উচিত বা আদৌ কি তা সম্ভব?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০