প্রশ্নঃ ৬২৪৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম
আমি একজন প্যারালাইসড পেশেন্ট। পেশাব পায়খানা সব বিছানায়।। নিচের অংশে কোনো রকম বোধই নেই।এখন এমতাবস্থায় কেউ তো আমায় কেউ বিয়ে করতে চাইবে না।সুস্থ হওয়ার তেমন সম্ভবনাও নেই।(আল্লাহ ভালো জানেন) তবে বিয়ে তো আবশ্যক! নইলে মিসকিন ই রয়ে যায়।বিয়ে দ্বীনের অর্ধেক।। তো এখন আমার তো কিছুই করার নেই।তাও কি আমার দ্বীন অর্ধেক ই রয়ে যাবে? আমি গোনাহগার ই হবো?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদের বিবাহের সাধ্য আছে তাদেরকে বিবাহ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যার বিবাহের সাধ্য নেই তার জন্য বিবাহ করা জরুরী নয়। এমনকি সুন্নতও নয়। বিবাহের পর বৈবাহিক হক আদায় করতে না পারলে বিবাহ করে গুনাহগার হতে হবে। এমতাবস্থায় বিবাহ করা জায়েয নয়।
যে ব্যক্তি শারীরিকভাবে বিবাহের সাধ্য রাখে কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ না করে রোযা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। যেন স্ত্রী সন্তানদেরকে অভাব-অনটনে ফেলে দিয়ে কষ্ট না দেয়।
عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ دَخَلْتُ مَعَ عَلْقَمَةَ وَالأَسْوَدِ عَلٰى عَبْدِ اللهِ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَبَابًا لاَ نَجِدُ شَيْئًا فَقَالَ لَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّه“ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّه“ لَه“ وِجَاءٌ.
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু মাস’উদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর সঙ্গে আমরা কতক যুবক ছিলাম; আর আমাদের কোন কিছু ছিল না। এই হালতে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন। হে যুবক সম্প্রদায় [৩]! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করে এবং যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন সাওম পালন করে। কেননা, সাওম তার যৌনতাকে দমন করবে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫০৬৬
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন