আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৫৭১৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুমভাইজান! আমি আপনার কাছে দুটি বিষয় একটু জানতে চাই।১/বেতের নামাজের পরে কোন সুন্নাত(তাহাজ্জুদ বা তারাবীহ) বা নফল নামাজ পড়ার হুকুম কি ?২/ ফরজ কিম্বা ওয়াজিব নামাজে সুরার তারতীব বজায় রাখার হুকুম কি?খুবই প্রয়োজনীয় দুটি বিষয়,দয়াকরে একটু তাড়াতাড়ি দলীল ভিত্তিক জবাব পেলে খুবই উপকৃত হবো।🙏🙏🙏

২৯ এপ্রিল, ২০২১
Kolkata

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




১. উত্তম হল রাতের নফলগুলো শেষ করে এরপর বিতির পড়া। কিন্তু এর অর্থ এ নয় যে, বিতির পড়ে ফেললে এরপর কোনো নফল পড়া যাবে না। বরং বিতর নামাযের পরও নফল নামায পড়া জায়েয আছে।

আবু বকর রা., আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও আম্মার বিন ইয়াসীর রা. প্রমুখ সাহাবীদের আমল দ্বারা এমনটি প্রমাণিত আছে যে, তাঁরা ইশার পর বিতর পড়ে শেষরাতে তাহাজ্জুদ পড়েছেন। (আল আওসাত, ইবনুল মুনযির ৫/১৯৮, মুসান্নাফে আবদুর রযযাক, বর্ণনা ৪৬১৫-৪৬২১)

২. ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল সকল নামাযে কুরআনুল কারীমের এই তারতীব তথি বিন্যাস অনুযায়ী তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। ইচ্ছাকৃত এর বিপরীত করা মোটেই উচিত নয়। তবে কেউ এর বিপরীত করলে তার নামায নষ্ট হবেনা। তিলাওয়াতের আদব লংঘন হবে।

تَرْتِيبُ الْقِرَاءَةِ:
20 - الأَْوْلَى أَنْ يَقْرَأَ الْقَارِئُ عَلَى تَرْتِيبِ
الْمُصْحَفِ، لأَِنَّ تَرْتِيبَهُ لِحِكْمَةٍ، فَلاَ يُتْرَكُ التَّرْتِيبُ إِلاَّ فِيمَا وَرَدَ فِيهِ الشَّرْعُ، كَصَلاَةِ صُبْحِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَ {الم تَنْزِيلٌ} ، وَ {هَل أَتَى} وَنَظَائِرِهِ، فَلَوْ فَرَّقَ السُّوَرَ أَوْ عَكَسَهَا جَازَ وَتَرَكَ الأَْفْضَل، وَأَمَّا قِرَاءَةُ السُّورَةِ مِنْ آخِرِهَا إِلَى أَوَّلِهَا. فَمُتَّفَقٌ عَلَى مَنْعِهِ، لأَِنَّهُ يُذْهِبُ بَعْضَ نَوْعِ الإِْعْجَازِ وَيُزِيل حِكْمَةَ التَّرْتِيبِ. لِمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ سُئِل عَنْ رَجُلٍ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ مَنْكُوسًا؟ قَال: ذَاكَ مَنْكُوسُ الْقَلْبِ، وَأَمَّا خَلْطُ سُورَةٍ بِسُورَةٍ فَإِنَّ تَرْكَهُ مِنَ الآْدَابِ، لِمَا أَخْرَجَ أَبُو عُبَيْدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال لِبِلاَلٍ: يَا بِلاَل قَدْ سَمِعْتُكَ وَأَنْتَ تَقْرَأُ مِنْ هَذِهِ السُّورَةِ وَمِنْ هَذِهِ السُّورَةِ. قَال: كَلاَمٌ طَيِّبٌ يَجْمَعُ اللَّهُ تَعَالَى بَعْضَهُ إِلَى بَعْضٍ. فَقَال النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُلُّكُمْ قَدْ أَصَابَ (1) .
وَأُخْرِجَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَال: إِذَا ابْتَدَأْتَ فِي سُورَةٍ فَأَرَدْتَ أَنْ تَتَحَوَّل مِنْهَا إِلَى غَيْرِهَا فَتَحَوَّل إِلاَّ {قُل هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} ، فَإِذَا ابْتَدَأْتَ بِهَا فَلاَ تَتَحَوَّل عَنْهَا حَتَّى تَخْتِمَهَا.
وَقَدْ نَقَل الْقَاضِي أَبُو بَكْرٍ الإِْجْمَاعَ عَلَى عَدَمِ جَوَازِ قِرَاءَةِ آيَةٍ آيَةٍ مِنْ كُل سُورَةٍ. قَال الْبَيْهَقِيُّ وَأَحْسَنُ مَا يُحْتَجُّ بِهِ أَنْ يُقَال: إِنَّ هَذَا التَّأْلِيفَ لِكِتَابِ اللَّهِ مَأْخُوذٌ مِنْ جِهَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَخْذُهُ عَنْ
جِبْرِيل، فَالأَْوْلَى لِلْقَارِئِ أَنْ يَقْرَأَهُ عَلَى التَّأْلِيفِ الْمَنْقُول (1) .
আল মওসূআ আল ফিকহিয়্যাহ

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন