প্রশ্নঃ ৪৯৩১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১.প্রশ্ন : কোনো নারী যদি বেগানা কোনো পর পুরুষ এর সামনে অথনা তাকে শুনিয়ে শব্দ করে হাসে তাহলে ওই নারীর কি পাপ হবে।
২.প্রশ্ন :আমার স্ত্রী অন্যে সফলতা দেখে আপছোছ করে এবং বলে ওমুক এর এতো কিছু আছে আমার কি আছে এসব বলার কারণে কি আমার স্ত্রী গোনাহ গার হইতাছে
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. আল্লাহ তাআলা নারীদেরকে সম্মানিত বানিয়েছেন। তাদেরকে পরপুরুষ থেকে আড়াল ও নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং পর-পুরুষকে শুনিয়ে হাসি তামাশা করা তাদের নারীসুলভ লজ্জাশীলতার পরিপন্থী।
অনিচ্ছায় দু-একবার তাদের হাসির শব্দ পর পুরুষ শুনে গেলে এটি অপরাগতা বলা যায়। সবসময় এমনটি করা পঙ্কিলতা মুক্ত নয়।
یٰنِسَآءَ النَّبِیِّ لَسۡتُنَّ کَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ اِنِ اتَّقَیۡتُنَّ فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِالۡقَوۡلِ فَیَطۡمَعَ الَّذِیۡ فِیۡ قَلۡبِہٖ مَرَضٌ وَّقُلۡنَ قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا ۚ
হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।
—আল আহ্যাব - ৩২
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা সরাসরি নবীর স্ত্রীগণকে সম্বোধন করলেও এই বিধানটি সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
২. আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে অন্যের ধন-সম্পদ ও সফলতার দিকে দৃষ্টি তুলতে বারণ করেছেন। আল্লাহর দেয়া রিযিকে সন্তুষ্ট থাকার হিদায়াত করেছেন। এর মাঝেই রয়েছে আত্মিক প্রশান্তি। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ।
কোন ব্যক্তির সম্পদ, সফলতা, সম্মান ও বৈশিষ্ট্যের দিকে তাকিয়ে আফসোস বাড়ানো ছাড়া, নিজের মনের অশান্তি বাড়ানো ছাড়া আর কী অর্জন হবে?
وَلَا تَمُدَّنَّ عَیۡنَیۡکَ اِلٰی مَا مَتَّعۡنَا بِہٖۤ اَزۡوَاجًا مِّنۡہُمۡ زَہۡرَۃَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۬ۙ لِنَفۡتِنَہُمۡ فِیۡہِ ؕ وَرِزۡقُ رَبِّکَ خَیۡرٌ وَّاَبۡقٰی
আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী।
—সূরা ত্ব-হা- ১৩১
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন