আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নামাযের নিষিদ্ধ সময়ে অন্যান্য ইবাদাত

প্রশ্নঃ ৪৭০৭৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নামাজের নিষিদ্ধ সময়গুলোতে কি অন্যান্য ইবাদত/জিকির করা যাবে না??

২৭ নভেম্বর, ২০২৩
৯FQ২+৬X৪، أم صلال، قطر (QA)

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


নামাজের নিষিদ্ধ সময় তিনটি। সূর্যোদয়ের সময়, ঠিক দ্বিপ্রহরের সময়; যতক্ষণ না তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ে এবং সূর্য হলুদবর্ণ ধারণ করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এই সময়গুলোতে শুধু নামাজ পড়া নিষেধ; অন্যান্য ইবাদত করা নিষেধ নয়। তাছাড়া হাদিস শরিফে দিবারাত্রি সব সময় কোরআন তেলাওয়াতকারীর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

لا حَسَدَ إلَّا في اثْنَتَيْنِ: رَجُلٌ عَلَّمَهُ اللَّهُ القُرْآنَ، فَهو يَتْلُوهُ آناءَ اللَّيْلِ، وآناءَ النَّهارِ، فَسَمِعَهُ جارٌ له، فقالَ: لَيْتَنِي أُوتِيتُ مِثْلَ ما أُوتِيَ فُلانٌ، فَعَمِلْتُ مِثْلَ ما يَعْمَلُ، ورَجُلٌ آتاهُ اللَّهُ مالًا فَهو يُهْلِكُهُ في الحَقِّ، فقالَ رَجُلٌ: لَيْتَنِي أُوتِيتُ مِثْلَ ما أُوتِيَ فُلانٌ، فَعَمِلْتُ مِثْلَ ما يَعْمَلُ

দু’ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কারও সাথে ঈর্ষা করা যায় না। এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্ তা’আলা কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন এবং সে তা দিন-রাত তেলাওয়াত করে। আর তা শুনে তার প্রতিবেশী তাকে বলে, হায়! আমাকে যদি এমন জ্ঞান দেয়া হত, যেমন অমুককে দেয়া হয়েছে, তাহলে আমিও তার মত আমল করতাম। অন্য আর এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ্ সম্পদ দান করেছেন এবং সে সম্পদ সত্য ও ন্যায়ের পথে খরচ করে। এ অবস্থা দেখে অন্য এক ব্যক্তি বলে, হায়! আমাকে যদি অমুক ব্যক্তির মত সম্পদ দেয়া হত, তাহলে সে যেমন ব্যয় করছে, আমিও তেমন ব্যয় করতাম। (বুখারী ৫০২৬)

শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

والله اعلم بالصواب

মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#২০৬৪৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি উচ্চতর পড়াশোনা তাগিদে বর্তমানে ডর্টমুন্ড, জার্মানিতে বসবাস করতেছি। পড়াশোনা পাশাপাশি পার্ট্ট-টাইম চাকুরীর জন্য প্রচুর ব্যস্ততায় সময় অতিবাহিত হয়। মসজিদ দূরে হওয়ায় জুম্মা ছাড়া জামাতে শরিক হওয়া সম্ভব হয় না।

আমি বাংলাদেশ এ থাকতে হানাফি মাজহাব অনুসারী ছিলাম, ১) এখন ব্যস্ততার জন্য আসর নামায হানাফি মাজহাব এর ওয়াক্তের আগেই পরে ফেলা হয় অথবা দিন অনেক বড় হওয়ায়, বাহিরে বের হবার আগে অন্য মাজহাব অনুসারে আসর পরে বের হই কারন বাহিরে বের হইলে নামায না পরার আসংখা থাকে। আমার পাশের অধিকাংশ মানুষ এবং মসজিদে আসর নামায অন্যমাজহাব অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে আমার নামায পরার সময় কি গ্রহনযোগ্য হবে?

২) সুবাহ সাদিক এর সময় নির্ধারণ এ এক এক এপ্স এক এক সময় নির্ধারণ করা নিয়ে বিপাকে আছি।
এই এপ্স সাথে (মুসলিম প্রো) ইংলিশ এপ্স এ ফজর শুরু আনুমানিক ৩ টা থেকে, কিন্তু অন্য একটি এপ্স এ ফজর শুরু ২ টা থেকে।
আবার (মুসলিমস ডে) বাংলা একটি এপ্স এতোদিন অনুসরণ করতাম এডবিহিন এর জন্য, অইটার ফজর শুরু ৪ টা থেকে। দুইটাই "ওয়ার্ড মুসলিম লিগ" এ ফিল্টার দেয়া।
(মুসলিমস ডে) বাংলা অইটার এশা শুরু রাত ১২ঃ৪০ যেখানে (মুসলিম প্রো) সহ এই এপ্স এ ১২ টার আগে।
ভিন্নতার কারন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার, আমার পরিচিত অনেকেই এটা নিয়ে বিপাকে আছে।

জাজাকাল্লাহ খাইরান।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী সিরাজুল ইসলাম
২৫ জুলাই, ২০২২
Mulheim an der Ruhr, Mulheim an der Ruhr, North Rhine-Westphalia, Germany