প্রশ্নঃ ৪৬১৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১/ কদকমাতিস সালাহ্ এর উত্তরে কি বলতে হবে?
২/ আমার বাড়ি আর শশুর বাড়ি প্রায় কাছেই, আমার অনুমিত ছাড়া স্ত্রীর বাড়ির বাহিরে যাওয়া নিষেধ, কিন্তু আমি যখন বাহিরে কাজে থাকি সেই সুযোগে আমার স্ত্রী যদি আমাকে না জানিয়ে বাড়ির বাহিরে যায় ইমার্জেন্সি কোন কাজে, আমাকে বললে আমি হয়তো যেতে দিতাম না এমন স্থানে
সে কি করণীয়?
এবং এর হুকুম?
৩/ অন্যের খুশির জন্য যদি স্বামী কে কষ্ট দেয় স্ত্রী তার জন্য কি হুকুম?
৪/
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. এর উত্তরে বলতে হবে :
أقامها الله و أدامها
আক্ব-মাহাল্লা-হু ওয়া আদামাহা-
২. স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী তার ঘর ছেড়ে বের হতে পারবে না। বের হলে স্ত্রী গুনাহগার হবে।
বিশেষ প্রয়োজনে স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী বের হতে পারবে। যেমন স্ত্রীর পিতা-মাতা যদি অসুস্থ হয় এবং তারা এই কন্যার খেদমতের প্রতি মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে স্বামীর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্ত্রী বাবার বাড়ি যেতে পারবে।
এছাড়া বাবার বাড়ি কাছাকাছি হলে সপ্তাহে একদিন বাবা-মার সঙ্গে দেখা করার জন্য যেতে পারবে। অন্যান্য মাহরাম আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বছরে একবার যেতে পারবে। এক্ষেত্রে স্বামী নিষেধ করার অধিকার রাখে না।
قال ابن نجيم الحنفي في البحر الرائق: ولو كان أبوها زمِنا (أي مريضا) مثلا وهو يحتاج إلى خدمتها والزوج يمنعها من تعاهده، فعليها أن تعصيه مسلما كان الأب أو كافرا، كذا في فتح القدير، وقد استفيد مما ذكرناه أن لها الخروج إلى زيارة الأبوين والمحارم، فعلى الصحيح المُفتى به: تخرج للوالدين في كل جمعة بإذنه وبغير إذنه، ولزيارة المحارم في كل سنة مرة، بإذنه وبغير إذنه.
৩. স্ত্রীর জন্য ওয়াজিব হল বৈধ বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা। অন্যকে খুশি করার জন্য স্বামীকে কষ্ট দেওয়া হারাম।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন