আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩৮৩৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহসম্মানিত মুফতি সাহেব আমার জানার বিষয় হল। যদি কারো একাধিক সন্তান থাকে,আর ওই ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তার কোন এক সন্তানকে তার নিজস্ব সম্পত্তি থেকে কিছু সম্পদ দেয়া বৈধ হবে কিনা,,? যদি দেয়া বৈধ হয়, তাহলে সেটা কিভাবে দিবে এবং এতে করে অন্য সন্তানদের উপর জুলুম হবে কি,,? শরয়ী সমাধানে উপকৃত করবেন।

১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
শিবপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


নিজের জীবদ্দশায় সন্তানদের মাঝে সম্পদ বন্টন করতে চাইলে সমানভাবে বন্টন করা উচিত।
কাউকে সম্পদ দিয়ে অন্যদেরকে ঠকানো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভাষায় জুলুম। তবে কোন সন্তান পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে থাকলে এবং দ্বীনদারী থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণে তাদেরকে না দেওয়ার ব্যাপারে ওলামাদের মতামত রয়েছে।

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ سَأَلَتْ أُمِّي أَبِي بَعْضَ الْمَوْهِبَةِ لِي مِنْ مَالِهِ، ثُمَّ بَدَا لَهُ فَوَهَبَهَا لِي فَقَالَتْ لاَ أَرْضَى حَتَّى تُشْهِدَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم‏.‏ فَأَخَذَ بِيَدِي وَأَنَا غُلاَمٌ، فَأَتَى بِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ أُمَّهُ بِنْتَ رَوَاحَةَ سَأَلَتْنِي بَعْضَ الْمَوْهِبَةِ لِهَذَا، قَالَ ‏"‏ أَلَكَ وَلَدٌ سِوَاهُ ‏"‏‏.‏ قَالَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ فَأُرَاهُ قَالَ ‏"‏ لاَ تُشْهِدْنِي عَلَى جَوْرٍ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ أَبُو حَرِيزٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ ‏"‏ لاَ أَشْهَدُ عَلَى جَوْرٍ ‏"‏‏.‏

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমার মাতা আমার পিতাকে তার মালের কিছু আমাকে দান করতে বললেন। পরে তা দেয়া ভাল মনে করলে আমাকে তা দান করেন। তিনি (আমার মাতা) তখন বললেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে সাক্ষী মানা ব্যতীত আমি রাজী নই। অতঃপর তিনি (আমার পিতা) আমার হাত ধরে আমাকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে গেলেন, আমি তখন বালক মাত্র। তিনি বললেন, এর মা বিন্তে রাওয়াহা একে কিছু দান করার জন্য আমার নিকট আবেদন জানিয়েছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে ব্যতীত তোমার আর কোন ছেলে আছে? তিন বললেন, হ্যাঁ, আছে। নু‘মান (রাঃ) বলেন, আমার মনে পড়ে, তিনি বলেছিলেন, আমাকে অন্যায় কাজে সাক্ষী করবেন না। আর আবূ হারীয (রহঃ) ইমাম শা‘বী (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন, আমি অন্যায় কাজে সাক্ষী হতে পারি না।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৬৫০

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#৮২৯৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জামাল বিয়ে করার কয়েক মাস পরে ইন্তেকাল করেন

তিনি অন্তঃসত্ত্বা বউ রেখে যান যার মহর তিনি আদায় করেন নাই

মৃত জামাল তার বাবা জীবিত ও তার পাচ ভাই এর মধ্যে জামাল ৫নাম্বার ছিল

তারা সবাই এক সাথে বাবার নেতৃত্বে চলতো
যার কারণে ৫ছেলের নামে কোন সম্পদ নেই তাই মৃত জামালের নামেও ব্যাক্তিগত কোনো সম্পদ নেই কিন্তু জামালের বাবার অনেক সম্পদ রয়েছে
এমতাবস্থায় আমার প্রশ্ন হলো জামাল এর বিধবা অন্তঃসত্ত্বা বউ এর বাকি মহর কি আদায় করতে হবে?

মৃত জামালের বউ বাচ্চা প্রসব করলে ঐ বাচ্চা তার দাদা থেকে ছেলে হলে কি পরিমাণ মেরাস পাবে আর মেয়ে হলে কি পরিমাণ?

আর জামালের বউ কি কোনো মেরাস পাবে?
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
৩১ আগস্ট, ২০২১
ঢাকা
#১৩৫১১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সম্মানিত মুফতি সাহেবের কাছে একটি প্রশ্ন আমরা জানি ইসলামের নিয়ম হলো পিতা যখন মারা যায় তখন সন্তান ওয়ারিশ এর মালিক হয়, এক্ষেত্রে ছেলে সন্তান এক ভাগ পায় আর কন্যা সন্তান অর্ধেক ভাগ পায়। এখন প্রশ্ন হল আমরা যদি আমার পিতার ইন্তেকাল এর পূর্বে আমার বোনের বিবাহর পরে তাকে হিসেব করে ফার্নিচার ইত্যাদি দিয়ে মিরাছ থেকে কেটে রাখি এবং তার অংশটা পিতার সম্মতিতে তার বিবাহের পরে দিয়ে দেই, এতে ইসলামের দৃষ্টিতে কোন সমস্যা হবে কিনা? বা এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: ইসহাক মাহমুদ
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঢাকা ১২১৬