আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

রাসূলুল্লাহ সা. এর জন্য ইসালে সাওয়াব করার বিধান

প্রশ্নঃ ২৬২৬২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মোনাজাতের সময় বলা হয় "হে আল্লাহ আমরা যতটুকু আমল করলাম তা লক্ষ কোটি গুন বৃদ্ধি করে নবি (সঃ) এর রওজা মোবারকে পৌছিয়া দিন"। এটা বলা জায়েজ কিনা কারন নবির তো সওয়াবের প্রয়োজন নেই।

২১ ডিসেম্বর, ২০২২
মাদারীপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে দোয়া করা জায়েজ আছে। কেননা, এর মাধ্যমে মূলত তাঁর জন্য ইসালে সাওয়াব বা সাওয়াব পৌঁছানো হয়। আর সাওয়াবের প্রয়োজনীয়তা কেবল গুনাহ মাফের জন্যই নয় বরং নেককার বান্দদের জন্য সেটা জান্নাতে দারাজাত (পজিশন) বৃদ্ধিরও কারণ হবে। হাদিস শরিফে রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন,

" إذا سمعتم المؤذن فقولوا مثل ما يقول ثم صلوا على فإنه من صلى على صلاة صلى الله عليه بها عشرا ثم سلوا الله عز وجل لي الوسيلة فإنها منزلة في الجنة لا تنبغي إلا لعبد من عباد الله تعالى وأرجو أن أكون أنا هو فمن سأل الله لي الوسيلة حلت عليه الشفاعة " .

“যখন তোমরা মুআজ্জিনকে আযান দিতে শুনবে তখন সে যেরূপ বলে– তোমরাও তদ্রূপ বলবে। অতঃপর তোমরা (আযান শেষে) আমার প্রতি দরূদ পাঠ করবে। কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে– আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন। অতঃপর তোমরা আল্লাহর নিকট আমার জন্য ওসীলা প্রার্থনা কর এবং ওসীলা হল জান্নাতের একটি বিশেষ স্থান। আল্লাহ্ তা’আলার একজন বিশিষ্ট বান্দা ঐ স্থানের অধিকারী হবেন এবং আমি আশা করি আমিই সেই বান্দা। অতঃপর যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসীলার দুআ করবে তাঁর জন্য শাফা’আত করা আমার উপর ওয়াজিব হবে। (সহীহ মুসলিম আন্তর্জাতিক নং - ৩৮৪)

কাজেই উপরোক্ত পদ্ধতিতে দোয়া করতে কোনো অসুবিধা নাই। বরং সেটাই দোয়ার সুন্নত।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন