আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ২২৩৫২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, অনেক মসজিদে দেখা যায় যে, ইমাম সাহেব ফজরের নামাজের পরে মুসল্লিদের নিয়ে উচ্চস্বরে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত করেন। আমার জানার বিষয় হলো যে, এভাবে নিয়মিত মুসল্লিদের নিয়ে উচ্চস্বরে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত করা কতটুকু শরিয়ত সম্মত?

১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
P৮JM+২৮৬

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





ফজরের নামাজের পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত।
মাকাল বিন ইয়াসার (রা,) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম” পড়বে। এরপর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে। আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন; যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩০৯০; আবু দাউদ, হাদিস : ২৯২২; মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১৯৭৯৫; কানজুল উম্মাল, হাদিস : ৩৫৯৭)
ফজরের নামাজ আদায়ান্তে ইমাম সাহেব মুসল্লিদের নিয়ে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত করেন, এভাবে ইমাম পড়িয়ে দেয়া এ আমলের পদ্ধতি নয়। বরং একাকী পড়ার বিধান। কিন্তু যেহেতু মুসল্লিদের অনেকেই এটি জানে না, তাই ইমাম সাহেবগণ এটি পড়িয়ে থাকেন।
তবে প্রত্যেক মুসল্লীর উচিত এটি বিশুদ্ধভাবে শেখা এবং ইমামের অনুসরণে নয় বরং নিজে নিজে পড়ার চেষ্টা করা।
কিন্তু সবাই মিলে পড়াকে সুন্নাত বা ইবাদত মনে করা যাবে না।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

শফিকুল ইসলাম হাটহাজারী
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিয়া মুহাম্মাদিয়া আরবিয়া মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন