আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৮৫২৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বর্তমানে আমাদের সমাজে দেখা যায়। যে, কোনো ব্যাক্তি এক লক্ষ বা দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে এক বিঘা জমি কটে বা বর্গা বা বন্ধক রাখে। ওই জমি ওনি ততদিন পর্যন্ত চাষ করে যতদিন পর্যন্ত ওই এক বা দেড় লাখ টাকা পরিশোধ না করছে।।। এটা কি জায়েজ।। কারণ জমি বন্ধকের রীতি অনেক আগ থেকেই চলে আসছে।। সঠিক টা জানতে চাই।

১৭ মে, ২০২২
RCWB৬৯৫১، ৬৯৫১ الحسن الكوفي، ৩৩৭১، حي الوزارات، Riyadh ১২৬২৬

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم




আপনি যে বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উত্তর দেয়া হয়েছে প্রশ্ন করার পূর্বে আমাদের একে আপনার বিষয়ে সার্চ করে দেখুন আপনার প্রশ্নের উত্তর নিচে সংযুক্ত করা হলো-

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
প্রসঙ্গসমূহ:

রেফারেন্স উত্তর :

জমি কট রাখার বিধান

প্রশ্নঃ ৬১৫১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সম্মানিত শায়েখ!আমার একটা প্রশ্ন : জমি বন্ধক রেখে সেই জমিতে চাষ আবাদ করে খাওয়া এটা শরিয়াত সম্মত কি হবে? একটু বিস্তারিত কোরআন হাদিস ফেকাহ দিয়ে জানালে খুব উপকৃত হতাম।

৩০ নভেম্বর, ২০২৪
Kolkata

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ঋণদাতার জন্য বন্ধকি জমি ভোগ করা সম্পূর্ণ নাজায়েয। এটি মূলত ঋণ প্রদান করে বিনিময়ে সুদ গ্রহণেরই একটি প্রকার। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত প্রথম পদ্ধতিটি নাজায়েয হওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট। আর দ্বিতীয় পদ্ধতিটি মূলত ঋণ প্রদান করে বন্ধকি জমি ভোগ করার একটি অবৈধ ছুতা। কারণ এক্ষেত্রে আলাদাভাবে ইজারা চুক্তি করা হয় না; বরং জমি ভোগ করার শর্তেই ঋণ দেওয়া হয় এবং ঋণের সুবিধা পাওয়ার কারণেই জমির মালিক নামমাত্র মূল্যে ভাড়া হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। সুতরাং প্রশ্নোল্লেখিত দুটি কারবারই নাজায়েয।

প্রকাশ থাকে যে, উক্ত কারবার বৈধভাবে করতে চাইলে শুরু থেকেই বন্ধকি চুক্তি না করে ভাড়া বা লীজ চুক্তি করবে। যার বিবরণ হল, জমির মালিক জমি ভাড়া দিবে। তার যত টাকা প্রয়োজন সেজন্য যত বছর ভাড়া দিতে হয় একত্রে তত বছরের জন্য ভাড়া দিবে। যেমন-এক বিঘা জমির বার্ষিক ভাড়া ৫ হাজার টাকা। মালিকের ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। তাহলে সে ৪ বছরের জন্য জমি ভাড়া দিবে। এক্ষেত্রে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা নিয়ে নিবে। এক্ষেত্রে জমির ভাড়া স্থানীয় ভাড়া থেকে সামান্য কম বেশিও হতে পারে। এরপর ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে অর্থ দাতা জমি ফেরত দিবে, কিন্তু প্রদেয় টাকা ফেরত পাবে না। অবশ্য সময়ের আগে ফেরত দিলে যে কয়দিন ভাড়ায় ছিল সে পরিমাণ ভাড়া কর্তন করে অবশিষ্ট টাকা ভাড়াটিয়া ফেরত পাবে।

-মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৮/২৪৪-২৪৫; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ৩/১৪৯; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; বাদায়েউস সানায়ে ৫/২১২; শরহুল মাজাল্লা, খালেদ আতাসী ৩/১৯৬-১৯৭; ইলাউস সুনান ১৮/৬৪

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন