আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১৪৪৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ইসলামের জ্ঞান না থাকার কারণে যদি নিষ্পাপ নারীর বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়ে ফেলি তাহলে এর কাফফারা হিসেবে আমার কি করনীয় আমি যাদেরকে কথাগুলো বলেছি তাদের কাছে যদি আমি বুঝিয়ে বলি যে আমার কথাটি ভুল হয়েছে তাহলে কি আমি দায় মুক্ত হবো নাকি অন্য কিছু করণীয় আছে। দয়া করে জানাবেন।

১৭ ডিসেম্বর, ২০২১
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





নিষ্পাপ নারীকে অপবাদ দেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক কবীরাহ গুনাহ এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার জন্য শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি হলো ৮০ (আশিটি) বেত্রাঘাত করা।
এখানে যেহেতু ইসলামী শরিয়া কার্যকর নয়, আপনি যার ব্যাপারে অপবাদ দিয়েছেন তার কাছে ক্ষমা চেয়ে, যাদের কাছে বলেছেন তাদের কাছে ভুলের স্বীকারোক্তি করে সঠিক কথা পৌঁছে দিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করুন। এরপর আল্লাহ তাআলার কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চেয়ে তাওবাহ ইস্তিগফার করুন।

وَالَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ ثُمَّ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِاَرۡبَعَۃِ شُہَدَآءَ فَاجۡلِدُوۡہُمۡ ثَمٰنِیۡنَ جَلۡدَۃً وَّلَا تَقۡبَلُوۡا لَہُمۡ شَہَادَۃً اَبَدًا ۚ  وَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ۙ

যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই না’ফারমান।
—আন নূর - ৪

অন্য আয়াতে এসেছে :

اِنَّ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ الۡغٰفِلٰتِ الۡمُؤۡمِنٰتِ لُعِنُوۡا فِی الدُّنۡیَا وَالۡاٰخِرَۃِ ۪  وَلَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ۙ

যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ ঈমানদার নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা ইহকালে ও পরকালে ধিকৃত এবং তাদের জন্যে রয়েছে গুরুতর শাস্তি।
—আন নূর - ২৩

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৪৫২৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
কেমন আছেন?
পুরো লেখাটুকু পড়ার অনুরোধ থাকলো, অনেক আশা নিয়ে পুরো টুকু লিখছি...
আমি একজন সাধারন ছাত্র। আলহামদুলিল্লাহ, আল্ল-হ তায়ালা আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ আমাকে ছাত্র শিবির এর মাধমে হেদায়েত দেন এবং আমি আল্লাহর সকল মেনে চলার চেষ্টা করি ছাত্র শিবির সংগঠন করার মাধমে। শিবির এ থেকে আমি ভালো সংগ পাই যা অন্য কোথাও পাইনা, এদের সাথে মেশার মাধমে সবসময় আল্লাহর কথা মনে হয়,আল্লাহর ভয় জন্মে। কিন্তু, আমার পরিবার বাধা দেয়, তারা আমাকে বলে এইসব রাজনিতি না করতে, হক কথা বলা থেকে বিরত থাকতে ইত্যাদি, এমনকি তারা আমাকে অনেক বড় বড় গুনাহ (ফুফাত, খালাত বোনদের সাথে দেখা সাক্ষাত করা, হাসি তামাশা) করতে বলে,,তারা বলে এইদুনিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে এইগুলা একটু করতে হবে- সামাজিকতা বজায় রাখতে হবে ।অথচ,আমি একজন সাধারন লাইনের ছাত্র বিধায় জানি আজ তরুণ এর কি অবস্থা, তারা সবাই গেম, যেনা নিয়ে ব্যাস্ত, কারন আমি একসময় এই পথে ছিলাম। তাই আমার ইচ্ছা, শিবির এ থেকে আমি মানুষ কে হেদায়াতের পথে আনার চেষ্টা করতে চায়। আল্লাহর কছম, আমার কোন রাজনিতি বা ক্ষমতার লোভ দুনিয়াবি কারনে নেই, আছে শুধু ন্যায়বিচার-ইন্সাফ প্রতিষ্ঠার জন্য।
{> আমি ১ বছর যাবত জামায়াত-শিবির নিয়ে অনেক ঘাটছি, ভালো খারাপ দুওটাই আছে, তারা এমন একটি লক্ষে কাজ করে - যে বড় কোন ভুল ভাংগার জন্য ছোট খাট ভুল হলে সমস্যা নাই---(1)
আমার প্রশ্ন=[১] আমি আমার পরিবারের কথা মানলে ভাল কোন সংগি পায় না, নিজেকে সংযত রাখার ব্যাপার অনেক কঠিন, তাহলে কি আমি সংগঠন ছেড়ে দিব?
[২]৷ (1) এর আলোকে সংগঠন সম্পর্কে কি ধারনা?
[৩] সাধারন ভাবে সংগঠন সম্পর্কে ভালো ও খারাপ দিক কি কি আপনার?
[৪] আমাদের উপর ইস্লামের দাওয়াত দেওয়াকে ফরজ করা হয়েছে, হক কথা বলা ফরজ,,তাই আমি সংগঠনে থাকলে আল্লাহর রহমতে বাতিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হইতে পারি, অনেক দ্রুত দাওয়াতি কাজ করতে পারি,,, আমার আব্বু আম্মুর ইচ্ছা আমি পড়াশোনা করে সমাজে ভালো পর্যায়ে যাব, কিন্তু আগে আমি আব্বু আম্মুর এই কথা শুনতাম না, অবাধ্য ছিলাম,, কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে শিবির এর ভাইদের সাথে থাকার তাওফিক দিছেন, যারা পড়াশোনা সম্পর্কে অনেক উতসাহ দেই এমনকি তাদের একপর্যায় এ গেলে,- ৫ঃ৩০ ঘন্টা পড়াশোনা করা বাধ্যতামূলক। উপরোক্ত ও এই কারনে আমার শিবির ভালো লাগে, তাই আমিও এদের মধ্যে থেকে অন্যদের আলোরপথে ফেরাতে চায়, আমার এই সিদ্ধান্ত কি ভুল? যদি হয় তাহলে কেন ভুল?( আমি সুধারাতে চাই ও অন্যদের এ ভুল ধারনা ভাংতে চেষ্টা করতে চাই)
★স্যার, আমু শুধু ভালো পথে থাকতে চাই, হোক শিবির হোক অন্য কিছু
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৮ মার্চ, ২০২২
ফুলতলা