প্রশ্নঃ ১১৩৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমরা তাস দিয়ে খেলা খেলে থাকি,পয়েন্টের উপর খাতায় লিখে,আমরা বাজি দরে টাকা দিয়ে খেলি না, আর অনেক সময় কেরাম খেলি, আমার কথা হচ্ছে এগুলা ব্যাপারে ইসলাম কি বলে।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
খেলাধুলা সম্পর্কে জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরগুলো পড়ুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
ক্রিকেট খেলা এবং গেম খেলা কি জায়েজ?
প্রশ্নঃ ৯৩৭৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হলো ক্রিকেট খেলা কি জায়েজ? এবং গেম খেলা কি জায়েজ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ক্রিকেট খেলা এবং গেম খেলা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ইসলামী শরিয়তে খেলাধুলার অবকাশ আছে। তবে তা তিনটি শর্তসাপেক্ষে।
(১) শারীরিক উপকার সাধন।
(২) ইসলামি শরিয়াতের কোনো বিধান লঙ্ঘন না হওয়া
(৩) আর্থিক ক্ষতিসাধন না হওয়া। এ তিনটি শর্ত যে খেলার মাঝে পাওয়া যাবে তা জায়েজ। আর যেখানে পাওয়া যাবে না সে সেই খেলা জায়েজ নয়।
কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই বর্তমান সময়ে প্রচলিত প্রায় সকল খেলাই এই তিন শর্তের সীমা অতিক্রম করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অপতদৃষ্টিতে এসব খেলায় শারীরিক উপকার এবং চিত্তবিনোদন উদ্দেশ্য বলা হলেও বাস্তবে এগুলো এখন পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এর পেছনে যে পরিমাণ সময়, মেধা, ও অর্থ বিনিয়োগ করা হয় তা বলা বাহুল্য।
হাশরের ময়দানে বান্দার প্রতিটি মূহুর্তের হিসাব দিতে হবে। সুরাতু আসরসহ কুরআনুল কারিমের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সময়ের প্রতি যত্নবান হতে নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই অনুসঙ্গিক ক্ষতিসমূহের সাথে সাথে এইসব খেলায় প্রচুর পরিমাণে সময় নষ্ট হয় যা কোনোভাবেই শরিয়তসম্মত নয়। এইসকল বিষয়ের প্রতি লক্ষ করে আমরা বলতে পারি ক্রিকেট, ফুটবল, মোবাইল-কম্পিটার গেমসহ প্রচলিত এসব খেলায় অংশগ্রহন করা কিংবা দর্শক হওয়া জায়েজ নাই। তবে যদি নিছক বিনোদান এবং শরীর চর্চার উদ্দেশ্যে কোনো খেলা খেলে এবং সেখানে জয়-পরাজয়ের কোনো লক্ষ্য থাকে না তাহলে এজতীয় খেলার অবকাশ আছে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
বাইতুল কুরআন মাদরাসা, মোহাম্মদপুর
তাস, দাবা, ক্যারামবোর্ড
প্রশ্নঃ ৩৪৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, তাস দাবা ক্যারাম বোর্ড ইত্যাদি খেলা যাবে কি ইসলামে কি বলে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
খেলাধুলা কয়েক প্রকার।
১. যেসব খেলায় জুয়া ও বাজি আছে তা নিঃশর্তভাবে হারাম।
২. যেসব খেলায় অঙ্গহানি হওয়ার ভয় আছে অথবা খেলায় মত্ত হওয়ায় ইবাদত বন্দেগিতে শৈথিল্য এসে যায় এবং খেলার পেছনে নেশাগ্রস্ত হয়ে যায়। এ জাতীয় খেলা মাকরূহ তাহরীমী তথা নিষেধ।
৩. যেসব খেলায় শারীরিক বা মানসিক কোনো কল্যাণ নিহিত নেই, সেগুলোও মাকরুহ। এ সব খেলা পরিত্যাজ্য।
তাস ও দাবা খেলায় বাজি না ধরলে তা পূর্বোক্ত তৃতীয় পর্যায়ে পড়েবে। যদি এ খেলায় নেশাগ্রস্থের মতো মত্ত না হয়ে যায়।
জেনে রাখা উচিৎ : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন ধরনের খেলায় উৎসাহ দিয়েছেন।
১. স্বামী-স্ত্রীর বিনোদন।
২. ঘোড় দৌড়।
৩. তীরন্দাজি
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡخَمۡرُ وَٱلۡمَيۡسِرُ وَٱلۡأَنصَابُ وَٱلۡأَزۡلَٰمُ رِجۡسٞ مِّنۡ عَمَلِ ٱلشَّيۡطَٰنِ فَٱجۡتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ
সূরা মা-ইদাহ ৯০।
عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " مَنْ سَكَنَ الْبَادِيَةَ جَفَا ، وَمَنِ اتَّبَعَ الصَّيْدَ غَفَلَ، وَمَنْ أَتَى السُّلْطَانَ افْتُتِنَ ".
সুনানু আবী দাউদ ২৮৬০
وَلَيْسَ مِنَ اللَّهْوِ إِلَّا ثَلَاثٌ ؛ مُلَاعَبَةُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ، وَتَأْدِيبُهُ فَرَسَهُ، وَرَمْيُهُ بِقَوْسِهِ،
মুসনাদ আহমাদ ১৭৩২১
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন