প্রশ্নঃ ১১২২৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম,
যদি এমন হয় যে কেউ কাউকে ভালোবেসে ফেলে (দয়া করে এই অংশটুকু হালকা করে নেবেন না, মনের অবস্থা অবশ্যই আল্লাহ ভালো জানেন এবং বোঝেন) এবং হারাম সম্পর্কে না জড়ায় এমনকি তাদের মধ্যে কখনো সাধারন কথাবার্তাও না হয়, অভিভাবকদের সাক্ষাৎ করিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর মত অবস্থাও যদি না সম্ভব হয়(একদম সম্ভব না বলেই বলছি), এমতাবস্থায় অন্যকাউকে বিয়ে না করতে চাওয়া কি গুনাহের কাজ হবে? ধারণা করছি যে অন্য কারো জন্য মনে ভালোবাসা পুষে রেখে আর একজনকে বিয়ে করাটা তার সাথে প্রতারণার মত হবে। আল্লাহ ভালো জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে এ ক্ষেত্রে বিয়ে না করে আল্লাহ তা'য়ালার কাছে সাহায্য চেয়ে যাওয়া কি উত্তম নয়?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অভিভাবক বা পরিবার যার সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছে তাকেই বিয়ে করতে হবে বিষয়টি এমন নয় বরং এক্ষেত্রে শরীয়তের সীমার মধ্যে বর কনে উভয়ের পছন্দের মূল্য দিতে হবে।আপনার বিষয়টি অনেকটা স্পর্শকাতর। এখানে একপক্ষের কথায় সমাধান সম্ভব নয়। আবার সকল পক্ষের বিরবণ শোনাও আমাদের সাধ্যের বাইরে। কাজেই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি পরিবারের সাথেই বিষয়টি সুরাহা করুন।
আরো জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি পড়তে পারেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৮২৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আচ্ছালামু আ'লাইকুম হুজুর, প্রাসঙ্গিক তাই একসাথে ৪টি করা, উত্তর দিলে উপকৃত হবো।১. বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি কি প্রয়োজন?২. অভিভাবক যদি জোর করে বিয়ে দেয়, আর পাত্রী যদি রাজী না থাকে সেক্ষেত্রে শরীয়ত কি বলে?৩.অভিভাবক যদি জোর করে বিয়ে দেয়, আর পাত্রী যদি রাজী না থাকে(পাত্রী হারাম সম্পর্কে লিপ্ত bf আছে, পড়ালেখা আগে শেষ করতে চায়) এক্ষেত্রে শরীয়ত কি বলে?৪. অভিভাবক যদি বিয়ে না দেয় ছেলে মেয়ে গুনাহ এর কাজে লিপ্ত। গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য ছেলে মেয়েরা কি অভিভাবক কে না জানিয়ে বিয়ে করতে পারবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(সকল প্রশ্নের উত্তর একত্রে)
প্রিয় প্রশ্নকারী!
বিবাহ একটি মহৎ ইবাদত। এটা নিছক সামাজিক কোনো রীতিনীতি নয়। নয় কোনো ছেলে খেলা। যেখানে আমরা জীবনের নূন্যতম বিষয়েও পরিবারের সাথে আলোচনা করে থাকে সেখানে বিবাহের ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ,গুরুগম্ভীর ও দূরদৃষ্টি সম্পৃক্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে কিভাবে আমরা পরিবারকে না জানিয়ে করার চিন্তা করি বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
শরীয়তের শর্ত মেনে যদি কেউ বিবাহ করে, যেমন মোহর ধার্য করা, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুজন নারী সাক্ষীর সম্মুখে বিবাহ সম্পন্ন হওয়া, ইত্যাদি শর্ত মেনে বিবাহ সম্পন্ন করলে যদিও বিবাহ হয়ে যাবে কিন্তু পরিবারের মুরুব্বিদের না জানিয়ে/পালিয়ে বিয়ে করা শরীয়তের নীতি-আদর্শের সম্পূর্ণ খেলাফ। কেননা এখানে আবেগের চেয়ে বাস্তবতা, অভিজ্ঞতা এবং বর-কনের কাফায়াত (বিবাহ প্রত্যাশীদের সমতা) এর পরিমাণ বেশী।
পরিবারের লোকজন বিশেষত পিতামাতা কখনোই সন্তানের অমঙ্গল চায় না। সন্তানের মঙ্গল এবং পারিপার্শ্বিকতার কথা চিন্তা করেই অনেক সময় পরিবার ছেলেমেয়েদের পছন্দ মতে বিবাহ দেন না।
bf/gf বা এজাতীয় যেকোনো সম্পর্ককে শরীয়ত কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। কাজেই আবেগ তাড়িত না হয়ে আবেগ কন্ট্রোল করে শরীয়ত সম্মত পন্থায় পারিবারের পরামর্শক্রমে বিষয়গুলোর সুরাহা করা আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে দীনের সহিহ বুঝ ও শুভবুদ্ধি দান করুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন