আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১৫- সূর্য-চন্দ্র গ্রহনের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৫
৬৭৫. মসজিদে সূর্যগ্রহণের নামায।
৯৯৭। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এক ইয়াহুদী মহিলা তাঁর নিকট কিছু জিজ্ঞাসা করতে এল। মহিলাটি বলল, আল্লাহ আপনাকে কবরের আযাব থেকে পানাহ দিন। তারপর আয়িশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেন, কবরে কি মানুষকে আযাব দেয়া হবে? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাই কবরের আযাব থেকে।
পরে একদিন সকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সওয়ারীতে আরোহণ করেন। তখন সূর্যগ্রহণ আরম্ভ হয়। তিনি ফিরে এলেন, তখন ছিল সূর্যোদয় ও দুপুরের মাঝামাঝি সময়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর হুজরাগুলোর মাঝখান দিয়ে অতিক্রম করলেন। তারপর তিনি নামাযে দাঁড়ালেন এবং লোকেরাও তাঁর পেছনে দাঁড়ালো। তিনি দীর্ঘ কিয়াম করলেন। এরপর দীর্ঘ রুকু করলেন। তারপর মাথা তুলে আবার দীর্ঘ কিয়াম করেন। তবে এ কিয়াম প্রথম কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। এরপর তিনি আবার দীর্ঘ রুকু করেন। তবে এ রুকু প্রথম রুকুর চাইতে অল্পস্থায়ী ছিল। এরপর তিনি আবার দীর্ঘ রুকু করেন। তবে এ রুকু প্রথম রুকুর চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। তারপর তিনি মাথা তুললেন এবং দীর্ঘ সিজদা করলেন। এরপর তিনি আবার দাঁড়িয়ে দীর্ঘ কিয়াম করেন। অবশ্য তা প্রথম কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। তারপর তিনি দীর্ঘ রুকু করলেন, তা প্রথম রুকুর চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। এরপর তিনি আবার দীর্ঘ কিয়াম করেন। তবে তা প্রথম কিয়ামের চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। তারপর দীর্ঘ রুকু করেন। অবশ্য এ রুকু প্রথম রুকুর চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। এরপর তিনি সিজদা করেন। এ সিজদা প্রথম সিজদার চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। তারপর তিনি নামায আদায় শেষ করেন। এরপরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর যা ইচ্ছা তাই বললেন। পরিশেষে তিনি সবাইকে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাওয়ার নির্দেশ দেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন