আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ
১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
হাদীস নং: ২৮৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩৫
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৫. উমরার উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য তাওয়াফের পরে সাঈর পূর্বে ইহরাম খোলা জায়েয নয়। হজ্জের উদ্দেশ্যে ইহরামকারীও তাওয়াফে কুদুমের পর ইহরাম খুলতে পারবে না। কিরান হজ্জকারীর হুকুমও অনুরূপ
২৮৭১। হারুন ইবনে সাঈদ আয়লী (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইরাকের অধিবাসী এক ব্যক্তি তাকে বলল, আমার পক্ষ থেকে আপনি উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করুন যে, এক ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বাঁধল, সে বায়তুল্লাহ তাওয়াফের পর ইহরাম খুলতে পারবে কিনা? তিনি যদি আপনাকে বলেন, সে ইহরাম খুলতে পারবে না তবে তাকে বলুন এক ব্যক্তি বলেছে, সে ইহরাম খুলতে পারবে। রাবী বলেন, অতএব আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বেঁধেছে, সে তা সমাধান না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলতে পারবে না। আমি বললাম, কিন্তু এক ব্যক্তি তাই বলেছে। তিনি বললেন, সে যা বলছে তা দুঃখজনক।
ইরাকের লোকটি আমার সাথে পুনরায় সাক্ষাত করলে আমি তাকে উপরোক্ত কথা বললাম। সে বলল, আপনি তাকে বলুন, কিন্তু এক ব্যক্তি বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাই করেছেন এবং আসমা (রাযিঃ) ও যুবাইর (রাযিঃ) অনুরূপ করেছেন কেন? রাবী বলেন, আমি তার নিকট গিয়ে এই বিষয় তাকে জানাই। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, লোকটি কে? আমি বললাম, জানি না। তিনি বললেন, তার কি হয়েছে যে, সে নিজে আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করছে না? আমার মনে হয়, সে ইরাকী। আমি বললাম, জানি না। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হজ্জ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা শরীফে পৌছে সর্বপ্রথম যে কাজ করেছেন তা ছিল এই যে, তিনি উযু করেন, এরপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন, অতঃপর আবু বকর (রাযিঃ) হজ্জ করেছেন। তিনি (মক্কায় পৌছে) সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। এবং এরপর উমর (রাযিঃ)-ও অনুরূপ করেছেন। অতঃপর উসমান (রাযিঃ) হজ্জ করেছেন। আমি তাকে সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে দেখেছি এবং এছাড়া অন্য কিছু করেননি। অতঃপর মুআবিয়া (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-ও (অনুরূপ করেছেন)। এরপর আমি আমার পিতা যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাযিঃ) এর সাথে হজ্জ করেছি। তিনিও সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। এছাড়া অন্য কিছু করেননি। অতঃপর আমি মুহাজির ও আনসারদের অনুরূপ করতে দেখেছি। এছাড়া তারা অন্য কিছু করেননি।
অতঃপর সর্বশেষে আমি যাকে অনুরূপ করতে দেখেছি, তিনি হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)। তিনি হজ্জ কে উমরা দ্বারা ভঙ্গ করেননি। আর সেই ইবনে উমর (রাযিঃ) তোমাদের মধ্যে বর্তমান আছে। তারা কেন তাকে জিজ্ঞাসা করছে না?
এভাবে যত লোক অতীত হয়েছে, তারা মক্কা শরীফে পা রেখেই সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতেন। অতঃপর তারা ইহরাম খুলতেন না। আর আমি, আমার মা আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) ও আমার খালা আয়িশা (রাযিঃ)-কেও দেখেছি যে, তারা মক্কায় পৌঁছে প্রথমেই বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। এরপর ইহরাম খুলেননি। আমার মা (আসমা) আমাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি তার বোন (আয়িশা), যুবাইর (রাযিঃ) এবং অমুক অমুক শুধুমাত্র উমরার ইহরাম বেধে মক্কায় এসেছেন এবং তারা (তাওয়াফ ও সাঈর পরে) রুকন (হাজারে আসওয়াদ) চুম্বন করার পর ইহরাম খুলেছেন। এই ব্যক্তি (ইরাকী) এ ব্যাপারে যা বলেছে, মিথ্যা বলেছেন।
ইরাকের লোকটি আমার সাথে পুনরায় সাক্ষাত করলে আমি তাকে উপরোক্ত কথা বললাম। সে বলল, আপনি তাকে বলুন, কিন্তু এক ব্যক্তি বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাই করেছেন এবং আসমা (রাযিঃ) ও যুবাইর (রাযিঃ) অনুরূপ করেছেন কেন? রাবী বলেন, আমি তার নিকট গিয়ে এই বিষয় তাকে জানাই। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, লোকটি কে? আমি বললাম, জানি না। তিনি বললেন, তার কি হয়েছে যে, সে নিজে আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করছে না? আমার মনে হয়, সে ইরাকী। আমি বললাম, জানি না। তিনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হজ্জ সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা শরীফে পৌছে সর্বপ্রথম যে কাজ করেছেন তা ছিল এই যে, তিনি উযু করেন, এরপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন, অতঃপর আবু বকর (রাযিঃ) হজ্জ করেছেন। তিনি (মক্কায় পৌছে) সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। এবং এরপর উমর (রাযিঃ)-ও অনুরূপ করেছেন। অতঃপর উসমান (রাযিঃ) হজ্জ করেছেন। আমি তাকে সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে দেখেছি এবং এছাড়া অন্য কিছু করেননি। অতঃপর মুআবিয়া (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-ও (অনুরূপ করেছেন)। এরপর আমি আমার পিতা যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাযিঃ) এর সাথে হজ্জ করেছি। তিনিও সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। এছাড়া অন্য কিছু করেননি। অতঃপর আমি মুহাজির ও আনসারদের অনুরূপ করতে দেখেছি। এছাড়া তারা অন্য কিছু করেননি।
অতঃপর সর্বশেষে আমি যাকে অনুরূপ করতে দেখেছি, তিনি হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)। তিনি হজ্জ কে উমরা দ্বারা ভঙ্গ করেননি। আর সেই ইবনে উমর (রাযিঃ) তোমাদের মধ্যে বর্তমান আছে। তারা কেন তাকে জিজ্ঞাসা করছে না?
এভাবে যত লোক অতীত হয়েছে, তারা মক্কা শরীফে পা রেখেই সর্বপ্রথম বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতেন। অতঃপর তারা ইহরাম খুলতেন না। আর আমি, আমার মা আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) ও আমার খালা আয়িশা (রাযিঃ)-কেও দেখেছি যে, তারা মক্কায় পৌঁছে প্রথমেই বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেছেন। এরপর ইহরাম খুলেননি। আমার মা (আসমা) আমাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি তার বোন (আয়িশা), যুবাইর (রাযিঃ) এবং অমুক অমুক শুধুমাত্র উমরার ইহরাম বেধে মক্কায় এসেছেন এবং তারা (তাওয়াফ ও সাঈর পরে) রুকন (হাজারে আসওয়াদ) চুম্বন করার পর ইহরাম খুলেছেন। এই ব্যক্তি (ইরাকী) এ ব্যাপারে যা বলেছে, মিথ্যা বলেছেন।
كتاب الحج
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ قَالَ لَهُ سَلْ لِي عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ عَنْ رَجُلٍ يُهِلُّ بِالْحَجِّ فَإِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ أَيَحِلُّ أَمْ لاَ فَإِنْ قَالَ لَكَ لاَ يَحِلُّ . فَقُلْ لَهُ إِنَّ رَجُلاً يَقُولُ ذَلِكَ - قَالَ - فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ لاَ يَحِلُّ مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ إِلاَّ بِالْحَجِّ . قُلْتُ فَإِنَّ رَجُلاً كَانَ يَقُولُ ذَلِكَ . قَالَ بِئْسَ مَا قَالَ فَتَصَدَّانِي الرَّجُلُ فَسَأَلَنِي فَحَدَّثْتُهُ فَقَالَ فَقُلْ لَهُ فَإِنَّ رَجُلاً كَانَ يُخْبِرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ فَعَلَ ذَلِكَ وَمَا شَأْنُ أَسْمَاءَ وَالزُّبَيْرِ فَعَلاَ ذَلِكَ . قَالَ فَجِئْتُهُ فَذَكَرْتُ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ مَنْ هَذَا فَقُلْتُ لاَ أَدْرِي . قَالَ فَمَا بَالُهُ لاَ يَأْتِينِي بِنَفْسِهِ يَسْأَلُنِي أَظُنُّهُ عِرَاقِيًّا . قُلْتُ لاَ أَدْرِي . قَالَ فَإِنَّهُ قَدْ كَذَبَ قَدْ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ - رضى الله عنها - أَنَّ أَوَّلَ شَىْءٍ بَدَأَ بِهِ حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ أَنَّهُ تَوَضَّأَ ثُمَّ طَافَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ حَجَّ أَبُو بَكْرٍ فَكَانَ أَوَّلَ شَىْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ ثُمَّ عُمَرُ مِثْلُ ذَلِكَ ثُمَّ حَجَّ عُثْمَانُ فَرَأَيْتُهُ أَوَّلُ شَىْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ ثُمَّ مُعَاوِيَةُ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ ثُمَّ حَجَجْتُ مَعَ أَبِي الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ فَكَانَ أَوَّلَ شَىْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ ثُمَّ رَأَيْتُ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارَ يَفْعَلُونَ ذَلِكَ ثُمَّ لَمْ يَكُنْ غَيْرُهُ ثُمَّ آخِرُ مَنْ رَأَيْتُ فَعَلَ ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ ثُمَّ لَمْ يَنْقُضْهَا بِعُمْرَةٍ وَهَذَا ابْنُ عُمَرَ عِنْدَهُمْ أَفَلاَ يَسْأَلُونَهُ وَلاَ أَحَدٌ مِمَّنْ مَضَى مَا كَانُوا يَبْدَءُونَ بِشَىْءٍ حِينَ يَضَعُونَ أَقْدَامَهُمْ أَوَّلَ مِنَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ ثُمَّ لاَ يَحِلُّونَ وَقَدْ رَأَيْتُ أُمِّي وَخَالَتِي حِينَ تَقْدَمَانِ لاَ تَبْدَآنِ بِشَىْءٍ أَوَّلَ مِنَ الْبَيْتِ تَطُوفَانِ بِهِ ثُمَّ لاَ تَحِلاَّنِ وَقَدْ أَخْبَرَتْنِي أُمِّي أَنَّهَا أَقْبَلَتْ هِيَ وَأُخْتُهَا وَالزُّبَيْرُ وَفُلاَنٌ وَفُلاَنٌ بِعُمْرَةٍ قَطُّ فَلَمَّا مَسَحُوا الرُّكْنَ حَلُّوا وَقَدْ كَذَبَ فِيمَا ذَكَرَ مِنْ ذَلِكَ .