আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৮৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩০-৪
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২২. অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে ইহরাম খোলা জায়েয, কিরান হজ্জের বৈধতা এবং কিরান হজ্জকারীর কেবল এক তাওয়াফ এক সাঈ করা প্রসঙ্গ
২৮৬২। মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ ও কুতায়বা (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। হাজ্জাজ ইবনে ইউসূফ যে বছর ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হল সেই বছর আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হজ্জে যাওয়ার সংকল্প করলেন। তাকে বলা হল, লোকদের মধ্যে এখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে এবং আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে- তারা আপনাকে বাধা দিবে। তিনি বললেন, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুল (ﷺ) এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ (সূরা আহযাব ২১)। এইরূপ পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা করেছেন, আমিও অনুরূপ করব। আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে নিশ্চয়ই আমি উমরার সংকল্প করেছি। অতঃপর তিনি রওয়ানা হলেন। অবশেষে যখন বায়দার উপকণ্ঠে পৌছলেন তখন তিনি বললেন, হজ্জ ও উমরার অবস্থা একই, তোমরা সাক্ষী থাক।

ইবনে রুমহের বর্ণনায় আছে আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি নিশ্চয়ই আমার উমরার সাথে হজ্জ অনিবার্য করে নিলাম। অতঃপর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিলেন যা তিনি কুদায়দ নামক স্থানে ক্রয় করেছিলেন।

অতঃপর তিনি হজ্জ ও উমরার একত্রে ইহরাম বেধে অগ্রসর হলেন। অবশেষে মক্কায় পৌঁছে তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন, এর অতিরিক্ত কিছু করলেন না। তিনি কুরবানীও করেননি। মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাটেননি এবং (ইহরামের কারণে) যা কিছু তার জন্য হারাম হয়েছিল তার কোনটি হালাল করেননি। অবশেষে কুরবানীর দিন এলে তিনি কুরবানী করলেন ও মাথা কামালেন এবং তার মত অনুযায়ী তিনি তার প্রথম তাওয়াফ দ্বারাই হজ্জ ও উমরার তাওয়াফ সস্পাদন করে ফেলেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ করেছেন।
كتاب الحج
باب بَيَانِ جَوَازِ التَّحَلُّلِ بِالإِحْصَارِ وَجَوَازِ الْقِرَانِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَرَادَ الْحَجَّ عَامَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ كَائِنٌ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ وَإِنَّا نَخَافُ أَنْ يَصُدُّوكَ فَقَالَ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ أَصْنَعُ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً . ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى كَانَ بِظَاهِرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ مَا شَأْنُ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ إِلاَّ وَاحِدٌ اشْهَدُوا - قَالَ ابْنُ رُمْحٍ أُشْهِدُكُمْ - أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجًّا مَعَ عُمْرَتِي . وَأَهْدَى هَدْيًا اشْتَرَاهُ بِقُدَيْدٍ ثُمَّ انْطَلَقَ يُهِلُّ بِهِمَا جَمِيعًا حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذَلِكَ وَلَمْ يَنْحَرْ وَلَمْ يَحْلِقْ وَلَمْ يُقَصِّرْ وَلَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَنَحَرَ وَحَلَقَ وَرَأَى أَنْ قَدْ قَضَى طَوَافَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ بِطَوَافِهِ الأَوَّلِ . وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ كَذَلِكَ فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)