আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৮৫২
আন্তর্জাতিক নং: ১২২৭
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২০. তামাত্তু হজ্জ পালনকারীর জন্য কুরবানী ওয়াজিব। যে ব্যক্তি এর সামর্থ্য না রাখে, সে হজ্জের অনুষ্ঠান চলাকালে তিন দিন এবং বাড়িতে প্রত্যাবর্তনের পরে সাত দিন রোযা পালন করবে
২৮৫২। আব্দুল মালিক ইবনে শু’আয়ব ইবনে লাঈস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তামাত্তু করেছেন, প্রথমে উমরা ও পরে হজ্জ করেছেন এবং পশু কুরবানী করেছেন। যুল হুলাইফা থেকে সাথে করে কুরবানীর পশু নিয়েছিলেন। এখানে থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথমে উমরার, অতঃপর হজ্জের তালবিয়া পাঠ শুরু করেন। লোকেরাও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুসরণে হজ্জের সাথে উমরা যুক্ত করে তামাত্তু করেন। কতক লোকের কুরবানীর পশু ছিল এবং তারা তা সাথে নিয়েছিল, আর কতকের কুরবানীর পশু ছিলনা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা শরীফে উপনীত হয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু আছে, হজ্জ শেষ না করা পর্যন্ত তাদের জন্য (সাময়িকভাবে) নিষিদ্ধ কোন জিনিস হালাল হবে না। আর তোমাদের মধ্যে যাদের সাথে কুরবানীর পশু নাই তারা যেন বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করে মাথার চুল ছোট করে হালাল হয়ে যায়। অতঃপর তারা (৮ যিলহজ্জ) পূনরায় হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধবে এবং (নিদিষ্ট দিনে) কুরনানী করবে। কোন ব্যক্তি কুরবানীর পশু না পেলে হজ্জ চলাকালীন সময়ে তিন দিন এবং বাড়িতে ফেরার পর সাত দিন রোযা পালন করবে।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় পৌছে প্রথমে রুকন (হাজারে আসওয়াদ) স্পর্শ করলেন, অতঃপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন, তিন চক্কর সামান্য দ্রুতগতিতে এবং চার চক্কর ধীরগতিতে। বায়তুল্লাহর তাওয়াফ সমাপ্ত করে মাকামে ইবরাহীমের নিকট দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। অতঃপর সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করলেন। অতঃপর তিনি সাফা পাহাড়ে এলেন এবং সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার সাঈ করলেন। এরপর তিনি এমন কোন জিনিস হালাল করেননি- যা হারাম হয়েছিল (ইহরামের কারণে অর্থাৎ তিনি ইহরামমুক্ত হননি) যে পর্যন্ত না হজ্জ সমাপন করেন। কুরবানীর দিন নিজের পশু কুরবানী করেন এবং কাবাঘর এর তাওয়াফ করেছেন। তারপর যে সব জিনিস হারাম ছিল, তা তার জন্য হালাল হয়ে গেল (অর্থাৎ তিনি ইহরাম খুললেন) আর যেসব লোক সাথে করে কুরবানীর পশু এনেছিল, তারাও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুরূপ করেছিল।
كتاب الحج
باب وُجُوبِ الدَّمِ عَلَى الْمُتَمَتِّعِ وَأَنَّهُ إِذَا عَدِمَهُ لَزِمَهُ صَوْمُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ، خَالِدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، - رضى الله عنهما - قَالَ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ وَأَهْدَى فَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْىَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَهْدَى فَسَاقَ الْهَدْىَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُهْدِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ قَالَ لِلنَّاسِ " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهْدَى فَإِنَّهُ لاَ يَحِلُّ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَهْدَى فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلْيُقَصِّرْ وَلْيَحْلِلْ ثُمَّ لْيُهِلَّ بِالْحَجِّ وَلْيُهْدِ فَمَنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا فَلْيَصُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ " . وَطَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ فَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَىْءٍ ثُمَّ خَبَّ ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ مِنَ السَّبْعِ وَمَشَى أَرْبَعَةَ أَطْوَافٍ ثُمَّ رَكَعَ - حِينَ قَضَى طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عِنْدَ الْمَقَامِ - رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ فَانْصَرَفَ فَأَتَى الصَّفَا فَطَافَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ سَبْعَةَ أَطْوَافٍ ثُمَّ لَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى قَضَى حَجَّهُ وَنَحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ وَأَفَاضَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ حَرُمَ مِنْهُ وَفَعَلَ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الْهَدْىَ مِنَ النَّاسِ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)