আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ

১৬- হজ্ব - উমরার অধ্যায়

হাদীস নং: ২৮২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২২১-৩
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
১৮. ইহরামকে সংযুক্ত করা জায়েয। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বলল, আমি অমুক ব্যক্তির ইহরাম এর অনুরূপ ইহরাম বাঁধলাম। এ ক্ষেত্রে তার ইহরাম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ইহরামের অনুরূপ হবে
২৮২৯। উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয (রহঃ) ..... শুবাহ্ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... সুফিয়ান ইবনে কায়স থেকে, তিনি তারিক ইবনে শিহাব থেকে এবং তিনি আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে। আবু মুসা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এলাম। তিনি বাতহা নামক স্থানে উট বসিয়ে অবস্থান করছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছ? আমি বললাম, আমি নবী (ﷺ) এর অনুরূপ ইহরাম বেঁধেছি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কুরবানীর পশু এনেছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে তুমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার পর ইহরাম খুলে ফেল। অতএব আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করার পর ইহরাম খূলে ফেললাম। এপর আমার গোত্রের এক মহিলার নিকট এলাম, সে আমার মাথার চুল আচড়িয়ে দিল এবং আমার মাথা ধুয়ে দিল। আমি আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে লোকদের অনুরূপ ফতওয়া দিতাম।

হজ্জের মৌসূম আগত, এ সময় এক ব্যক্তি আমার নিকট এসে বলল, আপনি হয়ত জানেন না আমীরুল মু'মিনীন (উমর) হজ্জের ব্যাপারে কি নতুন বিধান প্রবর্তন করেছেন। আমি বললাম, হে জনগণ! আমি যাদেরকে কতগুলো বিষয় সম্পর্কে যে ফতওয়া দিয়েছি তারা যেন অপেক্ষা করে। কারণ, ইতিমধ্যেই আমীরুল মু'মিনীন তোমাদের মধ্যে এসে পৌঁছবেন। তোমরা তার অনুসরণ করবে।

তিনি (উমর) এসে পৌছলে আমি বললাম, হে আমীরুল মু'মিনীন! আপনি হজ্জের ব্যাপারে নতুন কি বিধান দিচ্ছেন? তিনি বললেন, আমরা যদি আল্লাহর কিতাব আকড়ে ধরি, তবে আল্লাহ বলেনঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর” (সূরা বাকারাঃ ১৯৬)। আর আমরা যদি আমাদের নবী (ﷺ) এর সুন্নতের অনুসরণ করি, তাহলে নবী (ﷺ) সাথে করে নিয়ে আসা পশু যবেহ না করা পর্যন্ত ইহরাম খুলতেন না।
كتاب الحج
وحَدَّثَنَاه عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ فِي هَذَا الْإِسْنَادِ نَحْوَهُ

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَهْدِيٍّ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، - رضى الله عنه - قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مُنِيخٌ بِالْبَطْحَاءِ فَقَالَ " بِمَ أَهْلَلْتَ " . قَالَ قُلْتُ أَهْلَلْتُ بِإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " هَلْ سُقْتَ مِنْ هَدْىٍ " . قُلْتُ لاَ . قَالَ " فَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حِلَّ " . فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَوْمِي فَمَشَطَتْنِي وَغَسَلَتْ رَأْسِي فَكُنْتُ أُفْتِي النَّاسَ بِذَلِكَ فِي إِمَارَةِ أَبِي بَكْرٍ وَإِمَارَةِ عُمَرَ فَإِنِّي لَقَائِمٌ بِالْمَوْسِمِ إِذْ جَاءَنِي رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ . فَقُلْتُ أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ كُنَّا أَفْتَيْنَاهُ بِشَىْءٍ فَلْيَتَّئِدْ فَهَذَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ قَادِمٌ عَلَيْكُمْ فَبِهِ فَائْتَمُّوا فَلَمَّا قَدِمَ قُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَا هَذَا الَّذِي أَحْدَثْتَ فِي شَأْنِ النُّسُكِ قَالَ إِنْ نَأْخُذْ بِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ ( وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ) وَإِنْ نَأْخُذْ بِسُنَّةِ نَبِيِّنَا عَلَيْهِ الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَحِلَّ حَتَّى نَحَرَ الْهَدْىَ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ মুসলিম - হাদীস নং ২৮২৯ | মুসলিম বাংলা